ঢাকা | শুক্রবার
২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভারত থেকে ভেসে আসছে গরু

জলে ভেসে ভারত থেকে বাংলাদেশে চলে যাচ্ছে গরু। গরু তো আর নিজে থেকে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত বেছে যেতে পারে না। এখানে গরুদের পাঠানো হচ্ছে। বাংলাদেশে ঈদুল আজহা পর্ব সামনেই। তাই ওদেশের খামারের মালিক ও গৃহস্থেরা গরু হাটে নেওয়ার প্রস্তুতিতে ব্যস্ত।

কিন্তু বাংলাদেশের বহু হাটে এখন ভারতের গরুর রমরমা চাহিদা। বর্ষাকালে এখন চোরাকারবারিদের লাভের ওপর লাভ। বানের জলে বাংলাদেশে অবলীলায় চলছে গরু পাচার। কুড়িগ্রামের ব্রহ্মপুত্র ও দুধকুমার নদের জলে ভেসে প্রতিদিনই ভারতীয় গরু ঢুকছে বাংলাদেশে। এমনটাই দাবি করছে বাংলাদেশের একাধিক সংবাদমাধ্যম। আর এদিকে বাংলাদেশের বাজার খারাপ। সীমান্তে নজরদারিতে ঢিলেমির জন্যই এমন হচ্ছে বলে মনে করছেন অনেকে।

বাংলাদেশের একাধিক সংবাদমাধ্যম দাবি করেছে, নদীর জলে ভাসিয়ে রোজ রাতে শয়ে শয়ে গরু, মহিষ পাচার হচ্ছে। অন্যদিকে বাংলাদেশের বিভিন্ন উপজেলায় হাটে ভারতীয় গরু বিক্রি হচ্ছে অপেক্ষাকৃত কম দামে। ফলে বাংলাদেশের খামার ব্যবসায়ীরা গরুর দাম পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ করেছেন। এখন প্রশ্ন হল, কী করে বোঝা যাচ্ছে কোনটা ভারতের আর কোনটা বাংলাদেশের গরু!

জানানো হচ্ছে চোরাকারবারিদের সিন্ডিকেটের মাধ্যমে হাটে পাঠানো ভারতীয় গরুগুলির গায়ে বিশেষ চিহ্ন থাকছে। সেই চিহ্ন থাকা অবস্থাতেই প্রকাশ্যে গরু বিক্রি চলছে। এমনকি ট্রাক বোঝাই করেও শত শত ভারতীয় গরু রোজ বিভিন্ন হাটে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী, নাগেশ্বরী ও সদর উপজেলার জলপথে মূলত চোরাকারবার চলছে বলে অভিযোগ।

বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর তরফ থেকে জানানো হয়েছে, নজরদারিতে বিন্দু পরিমাণ ঢিলেমি দেওয়া হচ্ছে না। কিন্তু বর্ষায় নদ-নদীতে জল বেড়ে যাওয়ায় পরিস্থিতির সুযোগ নিচ্ছে চোরাকারবারিরা। তাছাড়া কোরবানি ঈদের আগে বাংলাদেশের কিছু অসাধু চক্র সক্রিয় হয়ে উঠেছে বলে জানানো হচ্ছে। হাটে বিক্রির আগে এসব গরু, মহিষের স্বাস্থ্য পরীক্ষার কোনও ব্যবস্থা থাকছে না। ফলে ঝুঁকিও রয়েছে।

আনন্দবাজার/শাহী

সংবাদটি শেয়ার করুন