ঢাকা | শুক্রবার
১৫ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৩০শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

২৩ জেলায় আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখার নির্দেশ

দেশের ২৩ জেলায় আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখতে ডিসিদের নির্দেশ দিয়েছে সরকার। পদ্মা, মেঘনা, যমুনা ও ব্রহ্মপুত্রের পানি বেড়ে নতুন করে ২৩টি জেলা প্লাবিত হওয়ার শঙ্কা থাকায় এসব এই নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান বৃহস্পতিবার সচিবালয় থেকে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ কঠিন সময় মোকাবেলা করছে, আমরা আম্পান মোকাবেলা করলাম, এরপরেই ২৬ জুন থেকে ৭ জুলাই পর্যন্ত স্বল্পমেয়াদী বন্যা মোকাবেলা করেছি। ৭ জুলাই থেকে ১২টি জেলায় বন্যায় অনেকটা স্বাভাবিক পরিস্থিতি চলে এসেছে।

প্রতিমন্ত্রী জানান, ১০/১১ জুলাই থেকে আবারও পানি বাড়বে। ব্রহ্মপুত্র, যমুনা, পদ্মা ও মেঘনা নদীর পানি বাড়ায় ২০ থেকে ২৪টি জেলা প্লাবিত হবে। এবার বন্যার স্থায়িত্ব দীর্ঘায়িত হবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান বলেন, এ দফায় রংপুর, কুড়িগ্রাম, নীলফামারী, লালমনিরহাট, গাইবান্ধা, বগুড়া, সিরাজগঞ্জ, টাঙ্গাইল, জামালপুর, রাজবাড়ী, শরিয়তপুর, ফরিদপুর, মাদারীপুর, মানিকগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, চাঁদপুর, সিলেট, সুনামগঞ্জ, নেত্রকোণা, কিশোরগঞ্জ, রাজশাহী, নাটোর ও নওগাঁ জেলা নতুন করে বন্যা দুর্গত হবে।

তিনি আরও বলেন, সেজন্য আমরা নির্দেশনা দিয়েছি, ডিসিরা যেন বেশি বেশি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করেন। কারণ করোনাভাইরাসের সংক্রমণ চলছে, এই পরিস্থিতিতে যাতে সামজিক দূরত্ব বজায় রাখা যায়, আশ্রয়কেন্দ্রে মাস্ক ব্যবহারের নির্দেশনা দিয়েছি।

এই ২৩টি জেলায় পূর্ব প্রস্তুতি হিসেবে সব জেলায় ২০০ মেট্রিকটন করে চাল, দুই হাজার প্যাকেট শুকনা খাবার এবং শিশু খাদ্যের জন্য দুই লাখ টাকা, গো-খাদ্যের জন্য দুই লাখ টাকা এবং নগদ তিন থেকে পাঁচ লাখ টাকা করে দেওয়া হয়েছে বলেও জানান ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী।

আনন্দবাজার/ডব্লিউ এস

সংবাদটি শেয়ার করুন