ঢাকা | মঙ্গলবার
২৬শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
১১ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিদায়ী ২০১৯-২০ অর্থবছরে রাজস্ব ঘাটতি ৮৫ হাজার কোটি টাকা

সদ্য সমাপ্ত হওয়া অর্থবছরে রেকর্ড পরিমাণে রাজস্ব ঘাটতি হয়েছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সাময়িক হিসাব অনুযায়ী, গত ২০১৯-২০ অর্থবছরে মোট বাজেট ঘাটতি ৮৫ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে। স্বাধীনতা-পরবর্তী রাজস্ব আহরণে এমন নাজুক অবস্থা আর কখনও হয়নি।
এনবিআর সূত্রে জানা যায়, গেল অর্থবছরে এনবিআরের সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩ লাখ ৫ হাজার কোটি টাকা, আর বিপরীতে আদায় হয়েছে ২ লাখ ১৫ হাজার কোটি টাকা। বিশাল এ ঘাটতির পাশাপাশি প্রবৃদ্ধিও নেতিবাচক বা ঋণাত্মক হয়েছে। এনবিআরের সংশ্নিষ্ট বিভাগের এক কর্মকর্তা জানান, এটি একটি সাময়িক হিসাব। তবে এ সপ্তাহের মধ্যে চূড়ান্ত পরিসংখ্যান প্রকাশ করা হবে। এতে খাতভিত্তিক বিস্তারিত সব তথ্য তুলে ধরা হবে।
এনবিআর সূত্রে জানা গেছে, দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭৫-৭৬ অর্থবছরে একবার রাজস্ব আয়ে নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি হয়েছিল। ওই সময় দেশে রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে রাজস্ব আয়ে ভয়াবহ প্রভাব পড়ে। এর পরবর্তী বছরগুলোতে রাজস্ব আয় বেড়ে গেলেও নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি হয়নি।
মূলত করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে অর্থনীতি বিপর্যস্ত হওয়ায় রাজস্ব আয়ে ধস নেমেছে। অর্থবছরের শেষ সময়ে বিশেষ করে মে ও জুনে সাধারণত রাজস্ব আদায় বাড়ে। এবছর রাজস্ব আহরণ কমে যাওয়ায় সরকারের নিয়মিত খরচ মিটাতে ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে রেকর্ড পরিমাণ ঋণ নিয়েছে।
বেসরকারি গবেষণা সংস্থা পিআরআইএর নির্বাহী পরিচালক ডক্টর আহসান এইচ মনসুর জানান, রাজস্ব ব্যবস্থায় বড় ধরনের সংস্কার আনতে হবে। পুরো রাজস্ব বিভাগের হালচাল বদলে ফেলতে হবে। অভ্যন্তরীণ সম্পদ আহরণ না বাড়ালে সরকার বড় ধরনের বিপদে পড়বে বলে তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন। এনবিআরের সাবেক সদস্য ফরিদউদ্দিন বলেন, রাজস্ব আদায় বাড়াতে হলে হিসাবের বাইরের অর্থনীতিকে (আন্ডার গ্রাউন্ড) মূল ধারায় আনতে হবে। এর জন্য আয়কর, ভ্যাট, কাস্টমস বিভাগকে একসঙ্গে সম্পৃক্ত করে অটোমেশন করতে হবে। তা না হলে কাঙ্ক্ষিত আদায় বাড়বে না।
আনন্দবাজার/তা.তা

সংবাদটি শেয়ার করুন