পুরো মন্ত্রীসভাসহ পদত্যাগ করেছেন ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী এডওয়ার্ড ফিলিপ। শুক্রবার প্রধানমন্ত্রীসহ মন্ত্রী পরিষদের সদস্যরা পদত্যাগপত্র দিইয়েছেন প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোর কাছে। এলিসি প্যালেস সূত্রে খবর প্রকাশ করেছে ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি।
এলিসি প্যালেসের বিবৃতিতে মন্ত্রিসভার পদত্যাগের কারণ জানানো হয়নি। তবে প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রো তার ৫ বছর শাসনের শেষ দুই বছরে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন সবকিছু ঢেলে সাজানোর। এরপরই মন্ত্রিসভার পুনর্বিন্যাসের বিষয়টি নিয়ে গুঞ্জন শুরু হয়। সেই গুঞ্জনের রেশ না কাটতেই সরে দাঁড়ালেন প্রধানমন্ত্রীসহ মন্ত্রী পরিষদের সদস্যরা।
প্রেসিডেন্টের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, নতুন সরকার গঠন না হওয়া পর্যন্ত বর্তমান সরকার দৈনন্দিন কাজ চালিয়ে যাবে। নতুন প্রধানমন্ত্রীর নামও শিগগিরই ঘোষণা করা হবে।
সংবিধান অনুযায়ী, ফ্রান্সে নতুন সরকার গঠনের সময় প্রধানমন্ত্রীকে পদত্যাগপত্র জমা দিতে হয়। এরপর কেবিনেট নতুন মন্ত্রিসভা গঠন করে। ফিলিপকে আবার নতুন সরকার গঠন করতে বলা হবে কিনা তা স্পষ্ট নয়।
এডওয়ার্ড ফিলিপ ফ্রান্সে খুবই জনপ্রিয় নেতা। তাকে ম্যাক্রোর চেয়েও জনপ্রিয় মনে করা হয়। যেকারণে তার পদত্যাগ নিয়ে ক্ষমতাসীন দলে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।
নিউইয়র্ক টাইমসের তথ্য অনুযায়ী, করোনার প্রাদুর্ভাবের পর একটি নতুন পর্ব শুরু করার এবং তার পাঁচ বছরের মেয়াদে তার সরকারকে একটি নতুন ম্যান্ডেট দেয়ার লক্ষ্যে ম্যাক্রো পরিবর্তন আনছেন। ২০২২ সালে শেষ হচ্ছে তার সরকারের মেয়াদ।
গত সপ্তাহে ফ্রান্সের পৌর নির্বাচনে বিরোধী দল গ্রিন পার্টি ভালো ফল করার পর চাপে পড়ে ক্ষমতাসীন রিপাবলিক পার্টি। এর ফলেই প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রো তার পরিষদ পরিবর্তনের জন্য কিছুটা চাপে পড়েন।
আনন্দবাজার/ডব্লিউ এস