একমাত্র মেয়ের মৃত্যুর পর মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন একসময়ের চিত্র নায়ক শাহিন আলম। সেই সাথে ছেড়ে দিলেন অভিনয়ও। তবে আগেই অভিনয়ের সাথে টুকটাক গার্মেন্টসের ব্যবসা করতেন। বর্তমানে সেটাকেই জীবিকা হিসেবে নিয়েছেন তিনি। এখন তিনি পুরোদস্তর ব্যবসায়ী।
প্রায় দেড় শ ছবিতে অভিনয়ে করার পর শাহিন আলম ব্যবসায় মনোযোগ দেন। অভিনয়ের পাশাপাশি গার্মেন্টসের ব্যবসা করতেন। কিন্তু গার্মেন্টসের ব্যবসায় খুব একটা সুবিধা করে উঠতে পারেননি। রাজধানীর গাউছিয়ায় তাঁদের পৈতৃক দুটো শোরুম ছিল। অভিনয় ছাড়ার পর এই শোরুমগুলোতে ব্যবসা শুরু করেন শাহিন আলম। একটি শোরুম ভাড়ায় চলে। আরেকটি শোরুমে নিজে ব্যবসা করেন।
জানা গেছে, শাহিন আলম গত চার বছর ধরে গুরুতর অসুস্থ। জটিল কিডনি রোগে ভুগছেন। গত সাড়ে তিন বছর ধরে তার ডায়ালাইসিস চলছে। প্রতি সপ্তাহে তিন দিন সাভারের গণস্বাস্থ্যকেন্দ্রে ডায়ালাইসিসের জন্য যেতে হয় তাকে। তবে তাঁর অসুস্থতার খবর খুব বেশি কারও জানা নেই।
তবে চিকিৎসার সহযোগিতার জন্য তিনি এখন পর্যন্ত শিল্পী সমিতি এবং সরকারের কাছ থেকে চিকিৎসা সহায়তা নেওয়ার জন্যও কোন তদবির করেননি। এই ব্যাপারে শাহিন আলম জানান, আমার মনে হয়েছে, যারা দুস্থ, আমার চেয়েও যাদের বেশি প্রয়োজন, তারা যাক। এত দিন আল্লাহ একভাবে চালিয়ে নিয়েছেন। সহায়তার কথা ভাবিনি।
কিন্তু করোনায় বর্তমানে ব্যবসার অবস্থা খুব খারাপ। তাই এখন চাইছি সরকার আমাদের দিকে তাকাক। আমার ছোট বোন আমাকে যথেষ্ট সহযোগিতা করেছেন। এমনকি করোনার সময়ও তাঁকে পাশে পেয়েছেন।
বর্তমানে গুলশানের নিকেতনে নিজের ফ্ল্যাটে থাকেন শাহিন আলম। স্ত্রী এবং বিশ্ববিদ্যালয়পড়ুয়া একমাত্র ছেলেকে নিয়ে তাঁর সংসার।
শাহিন আলম আরও জানান, অভিনয় ছাড়ার পর প্রথম দুই বছর অনেকে যোগাযোগ করত। কিন্তু সবাই যখন জেনে গেল, অভিনয় ছেড়ে দিয়েছি, তখন আর তেমন কেউ যোগাযোগ করে না। তবে সিনেমার লোকদের মধ্যে অমিত হাসান এবং মিশা সওদাগর নিয়মিত তাঁর খোঁজখবর নেন।
আনন্দবাজার/এইচ এস কে