করোনাভাইরাসে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে ভালো নেই ভোলার চরফ্যাশনের কুকরী-মুকরীর কাঁকড়া শিকারি ও ব্যবসায়ীরা। করোনার কারণে রফতানি বন্ধ হওয়ায় লোকসানের মুখে পড়েছেন তারা।
জানা যায়, এই পরিস্থিতিতেও অনেক শিকারি ও ব্যবসায়ীরা তাদের পেশা ধরে রাখতে কাঁকড়া শিকার ও বিক্রি অব্যাহত রেখেছে। তবে দাম পাচ্ছেন না স্থানীয় বাজারে। ফলে মানবেতর জীবনযাপন করছে অনেক শিকারি।
কয়েকজন কাঁকড়া শিকারি জানান, আমরা কাঁকড়া শিকার করে আড়তে বিক্রি করছি। আগে অনেক ভালো দাম পেতাম কিন্তু এখন বাজার দাম কমে গেছে। আগে যেখানে কেজি প্রতি ২০০ থেকে ৩০০ টাকা পেতাম। এখন পাই ১০০ থেকে ১৫০ টাকা। তবুও জীবিকার টানে কাঁকড়া শিকার করছি এবং তা বিক্রি করছি। বর্তমানে কাঁকড়া শিকার করতে গিয়ে আমাদের যে পরিশ্রম হয়, তার অর্ধেক দামও পাচ্ছি না।
কাঁকড়া ব্যবসায়ীরা জানান, আগে যেখানে শুধু কুকরী-মুকরী থেকে অর্ধশত ঝুড়ি কাঁকড়া রফতানি হতো সেখানে ৫/১০ ঝুড়ির বেশি কাঁকড়া বিক্রি হচ্ছে না। কখনো আবার এসব কাঁকড়া ফেরত চলে এলে তাদের কম দামে বিক্রি করতে হয়।
কাঁকড়া ব্যবসায়ী ও পাইকার খলিল এবং মফিজুল ইসলাম বলেন, করোনাভাইরাসের আগে কাঁকড়ার চাহিদা অনেক বেশি ছিল। কিন্তু করোনা ভাইরাসের পর থেকে এর চাহিদা অনেক কমে গেছে। কখনো কখনো কাঁকড়া পাঠানো হলেও আবার ফেরত আসে, তখন কম দামে বাজারে বিক্রি করতে হয়।
এ প্রসঙ্গে ভোলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান জানান, কাঁকড়া শিকারি এবং ব্যবসয়ীদের আমরা উৎসাহ দিচ্ছি, তারা বর্তমানে কিছুটা লোকসানে থাকলেও পরবর্তীকালে সংকট কেটে যাবে বলে আমরা মনে করছি।
আনন্দবাজার/টি এস পি