সম্প্রতি হংকংয়ের ওপর চীনে জারি করা বিতর্কিত আইনে ব্যাপক ক্ষোভ জানিয়েছে ব্রিটিশ সরকার। এমনকি হংকংবাসীকে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসের প্রস্তাবও দিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।
জানা গেছে, হংকংয়ের উপর চীনের নতুন জাতীয় নিরাপত্তা আইন প্রয়োগের পর ব্রিটিশ সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, ওই ভূখণ্ডের ৩০ লাখ বাসিন্দাকে যুক্তরাষ্ট্রে থাকতে এবং কাজ করতে নাগরিকত্ব দেওয়া হবে।
এই ব্যাপারে বরিস জনসন জানান, নতুন নিরাপত্তা আইনে হংকংয়ের স্বাধীনতা ক্ষুন্ন হয়েছে ও যারা এতে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন তাদেরকে যুক্তরাজ্যে আসার সুযোগ দেওয়া হবে। তারা পাঁচ বছরের জন্য যুক্তরাজ্যে আসতে পারবেন। সেই সাথে ওই সময়ের পর তারা নাগরিকত্বের জন্যেও আবেদন করতে পারবেন।
তবে যুক্তরাজ্যের এই সিদ্ধান্তের ব্যাপারে ব্যাপক ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে চীন। হংকংয়ে আইন জারিকে নিজেদের সার্বভৌমত্বের অধিকার বলে দাবি করে তারা।
তিনি আরও বলেন, নতুন আইনটি পাস করে হংকংয়ে চীনা কর্তৃপক্ষ ১৯৮৫ সালের সিনো-ব্রিটিশ যৌথ ঘোষণাকে লঙ্ঘন করেছে। এই ঘোষণায় বলা হয়েছিল ১৯৯৭ সালে ব্রিটেন হংকং-এর প্রশাসন চীনের কাছে ফিরিয়ে দেবার পর ৫০ বছর ওই এলাকাটি কী কী স্বাধীনতা ভোগ করবে।
১৯৯৭ সালের এই জুলাই মাসেই ব্রিটিশদের থেকে মুক্ত হয়ে চীনের আওতায় আসে হংকং। তবে শহরটির নিয়ন্ত্রণ নেয়ার সময় চীন বেশ কিছু শর্ত দিয়েছিল। সেই শর্তের অধীনে হংকংবাসীর বেশ ‘স্বাধীনতা’ ছিল, অন্তত আন্দোলনের ক্ষেত্রে। কিন্তু নতুন আইনে সেই সুযোগ আর থাকছে না বললেই চলে।
জানা গেছে, ব্রিটিশ শাসনের অবসানের ২৩ বছর পূর্তি উপলক্ষে গতকাল বুধবার রাস্তায় নামে হংকংবাসী। এতে তারা চীনের জারি করা নতুন আইনের বিপক্ষে বিক্ষোভ করেন।
আনন্দবাজার/এইচ এস কে