সম্প্রতি ইরানের রাজধানী তেহরানের উত্তরে একটি ক্লিনিকে ভয়াবহ গ্যাস বিস্ফোরণে ১৯ জন নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন আরো বেশ কয়েকজন।
তেহরানের ডেপুটি গভর্নর হামিদ রেজা গৌদারজি জানিয়েছেন, তেহরান বিস্ফোরণের সাথে নাশকতার কোনো যোগসূত্র নেই। এটি কেবল একটি দুর্ঘটনা। গ্যাস লিক হয়েই সিনা আথার নামে ওই ক্লিনিকে বিস্ফোরণ ঘটেছে বলে তিনি দাবি করেন। তবে বিস্ফোরণে নিহত ১৯ জনের মধ্যে ১০ জনই নারী এবং বাকিরা পুরুষ।
তেহরানের ফায়ার সার্ভিসের মুখপাত্র জালাল মালেকি বলেন, বিস্ফোরণের হওয়াতে ক্লিনিক ভবনে আগুন লেগে গিয়েছিল। তবে ফায়ার সাভির্সের কর্মীরা তা নিভিয়ে ফেলেছেন। বিস্ফোরণের সময় ওই ভবনের ভেতরে ২৫ জন কর্মী ছিলেন বলে জানা গেছে। ওই সময় হতাহতদের মধ্যে অনেকেই ক্লিনিকে ওপরের তলায় অপারেশন রুমে ছিলেন। দুর্ভাগ্যবশত তাপ এবং ঘন ধোঁয়ায় শ্বাসকষ্টে তাঁদের মৃত্যু হয়েছে।
এই ব্যাপারে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজের এক প্রতিবেদন জানান, ইরানের যে এলাকাটিতে বিস্ফোরণ দুর্ঘটনাটি ঘটেছে, সেখানে বেশ কয়েকটি সুড়ঙ্গ আছে। এ সুড়ঙ্গগুলো মাটির বেশ গভীরে। ধারণা করা হচ্ছে, ইরানের সামরিক গবেষণা এবং ক্ষেপণাস্ত্র উৎপাদনের কাজ হয়ে থাকে সেখানে।
আনন্দবাজার/এইচ এস কে