একদিকে করোনা অন্যদিকে স্বর্ণের বাজারে আগুন। কোনোটিি যেন প্রসঙ্গত নয়। এরপরও আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতিদিনই লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়ে যাচ্ছে স্বর্ণের দাম। গত কয়েক দিনে দাম বাড়ার প্রবণতা অব্যাহত থাকায় মঙ্গলবার আউন্স প্রতি স্বর্ণের দাম রেকর্ড ১৭৮০ ডলার ছাড়িয়েছে।
করোনার প্রকোপে বিনিয়োগকারীদের একটি অংশ এখন নিরাপদ বিনিয়োগের জন্য স্বর্ণ কিনে মজুত করছে। এর পরিপ্রেক্ষিতেই আন্তর্জাতিক বাজারে স্বর্ণের দাম বাড়ছে দ্বিগুন হারে।
এদিকে, এর আগে ২০১২ সালের সেপ্টেম্বরে আন্তর্জাতিক বাজারে আউন্স প্রতি স্বর্ণের দাম ১৭৮১ ডলারে উঠেছিল। এরপর গত আট বছরের মধ্যে এবারই প্রথম আউন্স প্রতি স্বর্ণের দাম ১৭৮০ ডলার ছাড়িয়ে গেল। অবশ্য মঙ্গলবার (৩০ জুন) প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম ১৭৮২ ডলার স্পর্শ করায় ২০১২ সালের সেপ্টেম্বরে রেকর্ড ভেঙে গেছে।
চলতি সপ্তাহের দুই কার্যদিবসের প্রতি কার্যদিবসেই স্বর্ণের দাম বেড়েছে নতুন করে। তবে মঙ্গলবার এর বড় উত্থান হয়েছে। একদিনে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম ১০ ডলার বেড়ে রেকর্ড পরিমান ১৭৮৩.৩০ ডলারে উঠেছে। এতে সপ্তাহের ব্যবধানে দশমিক ৯৩ শতাংশ এবং বছরের ব্যবধানে প্রায় ২৮ দশমিক ৮৩ শতাংশ বাড়ল স্বর্ণের দাম।
এদিকে, আন্তর্জাতিক বাজারে স্বর্ণের দাম বাড়ার কারণে গত ২২ জুন বাংলাদেশে দাম বাড়ানোর ঘোষণা দেয় স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের সংগঠন বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)। সাধারণত ভরি প্রতি এক-দেড় হাজার টাকা করে বাড়ানো হলেও এবার এক লাফে প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম পাঁচ হাজার ৭১৫ টাকা বাড়ানো হয়। অবশ্য দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম বাড়ানোর ঠিক পরেই আন্তর্জাতিক বাজারে স্বর্ণের দাম প্রতি আউন্সে ২০ ডলারের উপরে বেড়েছে।
স্বর্ণের এই দাম বাড়ানো সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস সভাপতি এনামুল হক খান ও সাধারণ সম্পাদক দিলীপ কুমার আগরওয়ালার বরাত দিয়ে জানানো হয়, করোনার প্রাদুর্ভাবের কারণে আন্তর্জাতিক বাজারে বর্তমানে স্বর্ণের মূল্য সর্বোচ্চ অবস্থানে রয়েছে। ফলে দেশীয় মার্কেটে স্বর্ণের মূল্য অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে।
উল্লেখ্য। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় বাজুস কার্যনির্বাহী কমিটি টেলি-কনফারেন্সে গৃহীত সিদ্ধান্ত মোতাবেক ২৩ জুন থেকে দেশের বাজারে স্বর্ণ ও রৌপ্যের মূল্য নতুন করে নির্ধারণ করা হয়েছে।
আনন্দবাজার/শাহী