যুক্তরাষ্ট্রের জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের মতে, দেশটিতে তরুণ প্রজন্মের আক্রান্ত হওয়ার হার বাড়ছে। সেখানে ফ্লোরিডা, সাউথ ক্যারোলাইনা, জর্জিয়া ও টেক্সাস সহ আরও বেশকয়েকটি অঙ্গরাজ্যে তরুণদের বেশি আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে।
তুলনামূলক কম বয়সীদের বেশি হারে আক্রান্ত হওয়াকে এখন বিশ্বব্যাপী বিশেষ উদ্বেগের সাথে দেখা হচ্ছে।
তরুণ প্রজন্ম ‘সেকেন্ড ওয়েভ’ অর্থাৎ সংক্রমণ কমে আসার পর আবারও ঊর্ধ্বগতিতে সংক্রমণ বৃদ্ধির জন্য দায়ী হতে পারেন কিনা সেই আশঙ্কা প্রকাশ করছেন বিশেষজ্ঞরা।
বাংলাদেশেও অপেক্ষাকৃত কম বয়সীরাই করোনাভাইরাসে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে।
সরকারি সংস্থা রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইন্সটিটিউট আইইডিসিআর তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে করোনাভাইরাসে এপর্যন্ত শনাক্ত ব্যক্তির ৫০ শতাংশেরই বয়স ২১ থেকে ৪০ বছর পর্যন্ত।
বাংলাদেশের স্বাস্থ্য বিভাগ ৩০শে জুন
অধ্যাপক তাহমিনা শিরিন বলেন, রাস্তায় নামলে দেখা যায় অনেক তরুণ গা ঘেঁষাঘেঁষি করে আড্ডা দিচ্ছে। কারো মুখে হয়ত মাস্ক আছে, কারো বা নেই, কেউ আবার মাস্ক গলায় ঝুলিয়ে রেখেছে। তাদের বাইরে বের হওয়ার প্রবণতা বেশি হওয়ায় তাদের মধ্যে রেকলেস হওয়ার প্রবণতাও বেশি।
এই তরুণরাই আবার বাড়ি গিয়ে নিজের পরিবার, প্রতিবেশী, আত্মীয়দের সংক্রমিত করছেন। পরিবারে আগে থেকেই কারো হার্ট, কিডনির সমস্যা বা ডায়াবেটিস আছে তাদেরকেও মারাত্মক ঝুঁকিতে ফেলছেন।
অধ্যাপক তাহমিনা শিরিন বলছেন, তরুণরা নিজেরা আক্রান্ত হয়ে করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরীক্ষা ব্যবস্থার উপর চাপ সৃষ্টি করছেন।
তাদের কারণেই হয়ত একজন বয়োজ্যেষ্ঠ ব্যক্তিকে আক্রান্ত হয়ে গুরুতর পরিস্থিতিতে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে। এতে হাসপাতাল ব্যবস্থার উপরেও চাপ পড়ছে।
আনন্দবাজার/তা.তা