করোনাভাইরাস পরিস্থিতি মোকাবেলায় বাংলাদেশকে সহযোগিতা করা অব্যাহত রাখবে বলে প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছে যুক্তরাষ্ট্র। সোমবার বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আবদুল মোমেনের সঙ্গে টেলিফোনালাপে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও এই প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন। মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের ওয়েবসাইটে বিষয়টি প্রকাশ করা হয়েছে।
মার্কিন মুখপাত্র মরগ্যান অর্টাগাস এক বিবৃতিতে জানান, দু্দেশের মন্ত্রীর মধ্যে ফোনালাপে ৪ কোটি ৩০ লাখ ডলারেরও বেশি করোনা সহায়তা নিয়ে পর্যালোচনা করা হয়।
করোনা মোকাবেলায় ইতোমধ্যে বাংলাদেশকে এই টাকা সরবরাহ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এছাড়া করোনায় জরুরি চিকিৎসা সরঞ্জাম ও সুরক্ষাসামগ্রী উৎপাদন করে আন্তর্জাতিকভাবে বাংলাদেশের ভূমিকা রাখার বিষয়টিও উঠে আসে আলোচনায়।
কল্যাণপুর এবং সাততলা বস্তির নিম্নআয়ের এক লাখ মানুষকে খাবার সরবরাহ এবং কৃষিপণ্যের বাজার নিশ্চিত করতে দুই সপ্তাহ আগে সহায়তার ঘোষণা দেয় যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির সরকারি দাতব্য সংস্থা ইউএসএআইডির মাধ্যমে এই সহায়তার ঘোষণা দেয়া হয়।
এদিকে বাংলাদেশকে দেয়া অন্যান্য সহযোগিতা সম্প্রসারণের অংশ হিসেবে নতুন ধাপের সহায়তা ঘোষণা করে যুক্তরাষ্ট্র। করোনা মোকাবেলায় বাংলাদেশকে দেয়া সহায়তার মধ্যে রয়েছে কমিউনিটি নজরদারি, সংক্রমণ প্রতিরোধ এবং নিয়ন্ত্রণমূলক কার্যক্রম। এর মধ্যে ফ্রন্টলাইন কর্মীদের প্রশিক্ষণ এবং জ্ঞানবৃদ্ধির মাধ্যমে কোভিড-১৯ নিয়ে ভুল ধারণা নিরসনে চলমান সহায়তার মতো বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র অর্তাগাস বলেন, রোহিঙ্গা সংকট মোকাবেলায় মানবিক সহায়তা হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে প্রায় ৮২ কোটি ডলার সহায়তা দিয়েছে। মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, এই আর্থিক সহায়তার বেশিরভাগই বাংলাদেশে পরিচালিত একাধিক কর্মসূচিতে ব্যয় হয়েছে।
এ ছাড়া দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীর্ঘমেয়াদি অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ও টেকসই উন্নয়নের স্বার্থে স্বচ্ছতা এবং তথ্যপ্রাপ্তির গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা করেন।
আনন্দবাজার/ডব্লিউ এস