পবিত্র ঈদ-উল-আযহাকে সামনে রেখে প্রতি বছরের মতো এবারও দেশীয় পদ্ধতিতে বিপুল সংখ্যক ষাঁড় মোটাতাজাকরণ চলছে সিরাজগঞ্জ জেলায়। তবে করোনারভাইরাসের প্রভাবে গো-খাদ্যসহ অন্যান্য উপকরণের দাম বাড়ায় লোকসানের পাশাপাশি গরুর সঠিক দাম পাওয়া নিয়ে দুঃশ্চিন্তায় রয়েছেন খামারিরা।
জেলার প্রাণিসম্পদ অফিস বলছে, লোকসান পুষিয়ে নিতে প্রশাসনের সাথে সমন্বয় করে কাজ করছে তারা। অপরদিকে লোকসানের হাত থেকে রক্ষায় সহজ শর্তে ঋণের পাশাপাশি সরকারি সহায়তার দাবি জানান খামার মালিকরা।
এ বছরও প্রাকৃতিক উপায়ে সবুজ ঘাস, খড়, ভুষি, ভাত, খৈল ও কিছু ভিটামিন খাইয়ে মোটাতাজাকরণ করছেন গো-খামারিরা। তবে করোনাভাইরাসের প্রভাবে গবাদি পশুর খাদ্য ও ওষুধের মূল্য বৃদ্ধিতে ব্যয় বেড়েছে কয়েকগুণ। একই সঙ্গে করোনার কারণে কাঙ্খিত দাম ও বিক্রি নিয়ে শংকায় খামারিরা। এ জেলায় কোরবানি উপলক্ষে প্রায় ২ লাখ ৩৫ হাজার গবাদি পশু মোটাতাজাকরণ করা হচ্ছে।
সিরাজগঞ্জ জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. আখতারুজ্জামান ভুঁইয়া জানান,করোনাকালীন সময়ে খামারিদের লোকসান পুষিয়ে নিতে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর ও জেলা প্রশাসন সমন্বিতভাবে কাজ করছে।
আনন্দবাজার/এম.কে