ঢাকা | বৃহস্পতিবার
১২ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
২৭শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চীনা যুদ্ধবিমান ধ্বংসে লাদাখে ভারতের শক্তিশালী ক্ষেপণাস্ত্র!

গালওয়ান উপত্যকায় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে অন্তত ২০ ভারতীয় সেনা নিহতের ঘটনার লাদাখে যুদ্ধ পরিস্থিতি বিরাজ করছে। সীমান্তে উভয় পক্ষ শক্তি বাড়াচ্ছে। এবার লাদাখের পূর্বাংশে যুদ্ধবিমান প্রতিরোধী ক্ষেপণাস্ত্র বসাবে ভারত।

গালওয়ান উত্তপ্ত পরিস্থিতির জেরে আকাশপথে চীনের সম্ভাব্য যে কোনো হামলা আটকে দিতে এই ক্ষেপণাস্ত্র বসানোর সিদ্ধান্ত হাতে নিয়েছে ভারত সরকার। সরকারি ভাবে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় কিছু না জানালেও, সরকারি সূত্রকে উদ্ধৃত করে এই তথ্য দিয়েছেন সংবাদসংস্থা এএনআই।

প্রসঙ্গত, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর এরই মাঝে শক্তি বৃদ্ধি করেছে চীন। সুখোই-৩০ এর মতো যুদ্ধবিমান এলএসি থেকে মাত্র ১০ কিলোমিটার দূরে দেখা গেছে। পিছিয়ে নেই ভারতও। দেশটির বিমান বাহিনী প্রধান লে-শ্রীনগরে বিমান ঘাঁটি পরিদর্শনের পর পরই গালওয়ান উপত্যকার আকাশে ভারতীয় যুদ্ধবিমান দেখা যায়। বিমান বাহিনীকে চূড়ান্ত সতর্কবার্তায় সবরকম পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত থাকতে নির্দেশ দেওয়া আছে। ফরওয়ার্ড বিমান ঘাঁটিগুলোতে যুদ্ধবিমান মোতায়েন করে প্রস্তুত রাখা হয়েছে বলেও জানা গেছে।

আকাশপথে তৎপরতা দেখাতে নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর আকাশে উড়তে দেখা গিয়েছে চিনুক কার্গো, অ্যাপাচি, পি-৮ সার্ভেইলেন্স এয়ারক্র্যাফ্টের মতো একাধিক সামরিক হেলিকপ্টার। গালওয়ান উপত্যকায় ভারত-চীন সেনা সংঘর্ষের পর থেকেই ওই এলাকায় বেশি বাহিনী, সরঞ্জাম ও রসদ পাঠাতে শুরু করেছে ভারতীয় সেনা। এমনকী বিশ্বের সবচেয়ে বড় ট্যাকটিক্যাল এয়ারলিফ্টার বিমান সি-১৩০ জে হারকিউলিকেও লাদাখের আকাশে দেখা যায়। দৌলত বেগ ওল্ডির বিমানঘাঁটিতে নেমেই আবার তা উড়ে চলে গেছে।

প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের বলেন, স্থলসেনা মোতায়েনের সঙ্গে এবার এয়ার ডমিন্যান্স শুরু করেছে ভারত। অর্থাৎ, প্রতিপক্ষের দিক থেকে কোনো আগ্রাসনের চেষ্টা হলেই আকাশপথে জবাব দেওয়া হবে। যদি চীনের তরফে পাল্টা বিমান হামলার চেষ্টা হয়, তা রুখতেই এই বিমান বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র বসাচ্ছে ভারত সরকার।

আনন্দবাজার/এফআইবি

সংবাদটি শেয়ার করুন