বর্তমান সময়ের উদীয়মান তরুণ জনপ্রিয় অভিনেতা সিয়াম নাসির। যিনি তার নিজের যোগ্যতায় অভিনয়ের গুণাবলীর দ্বারা দর্শকসারিতে পেয়েছেন ব্যাপক জনপ্রিয়তা। খুবই অল্প সময়ে বাংলা নাট্যজগতে নিজের অবস্থান করে নিতে সক্ষম হয়েছেন। অভিনয়ে আসার পর থেকেই দর্শকদের উপহার দিয়ে যাচ্ছেন একের পর একে জনপ্রিয় নাটক।
নটরডেম কলেজ নাট্যদল থেকে শুরু হয় নাটকের সাথে সখ্যতা। অভিনয় শেখার প্রয়োজনে করেছেন থিয়েটারও। ২০১৩ সালে আশফাক নিপুণের নির্দেশনায় ‘মুখ ও মুখোস’ নাটকের মধ্য দিয়ে শুরু হয় তার অভিনয়ের যাত্রা। এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে। দর্শকদের ভালোবাসায় প্রতিনিয়ত ভালো ভালো কাজ করার মাধ্যমে দেখিয়ে যাচ্ছেন নিজের সেরা অভিনয়টা।
সিয়াম নাসির বলেন, আমার আজকের এই অবস্থানে আসার পেছনে সবচেয়ে বেশী অবদান রয়েছে নাট্য নির্দেশক মাবরুর রশীদ বান্নাহ ভাইয়ের। ২০১৪ সাল থেকে তিনি আমাকে একের পর এক নাটকে অভিনয়ের সুযোগ দিয়েছেন। তাছাড়া যে মানুষটির কথা না বললেই নয়, আফরান নিশো ভাইয়ের ভালোবাসা ছাড়া আমার আজকের এই পরিচিত মুখ হয়ে ওঠাটা অনেকটাই কষ্টসাধ্য ব্যাপার ছিলো।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের বর্তমান মিডিয়া এখন একটা হাড্ডাহাড্ডি কমপিটিশনের যায়গা। এ যায়গায় লড়াই করে থাকা খুবই কষ্টসাধ্য ব্যাপার। এছাড়া অভিনয়কে ক্যারিয়ার হিসেবে নেয়ার পেছনে আমার মায়ের অবদান সবচেয়ে বেশী। তিনিই আমার প্রতিটা নাটকের প্রথম দর্শক।
জানা যায়, পুরান ঢাকার গেণ্ডারিয়ায় বেড়ে ওঠা তার। ছোটবেলা থেকেই নাটক দেখতে খুব ভালো লাগতো। বিশেষ করে মোশারফ করিমের বিশাল ভক্ত ছিলেন তিনি। তার অভিনয় দেখে দেখেই নাটকে কাজ করার আগ্রহটা তীব্র থেকে আরও তীব্রতর হয়ে ওঠে। ভবিষ্যতে তিনি বাংলাদেশের একজন ফজলুর রহমান বাবু, মোশারফ করিমের মতোই নিজেকে গড়ে তুলতে চান।
উল্লেখ্য, এখন পর্যন্ত প্রায় ২০০ এর অধিক নাটকে অভিনয় করেছেন সিয়াম নাসির। তার উল্লেখযোগ্য নাটকগুলোর মধ্যে রয়েছে নাইন এন্ড হাফ, ব্যাকবেঞ্চার, অন্দরের খাঁচা, টিনটিন, ব্রা-দার, প্রিয়তমেশু, ব্যাকবোনলেস..ইত্যাদি
আনন্দবাজার/শাহী