দেশের প্রথম টকিং গাড়ি নির্মাণ করছে শীর্ষস্থানীয় শিল্প গ্রুপ পিএইচপি। মালয়েশিয়ার বিশ্ববিখ্যাত প্রোটন ব্র্যান্ডের এক্স৭০ মডেলের এই গাড়িটি সংযোজন করা হচ্ছে দেশেই। গাড়িটিকে মৌখিক নির্দেশনায় পরিচালনা করা যায় বলেই এর নাম দেয়া হয়েছে টকিং গাড়ি।
গত রোববার চট্টগ্রামের শুলকবহরের এশিয়ান হাইওয়ে-সংলগ্ন পিএইচপি-প্রোটন শো রুমে দেশের প্রথম টকিং গাড়ি প্রোটন এক্স৭০ মডেলের গাড়ির পর্দা উম্মোচন করা হয়।
পিএইচপি অটোমোবাইলস লিমিটেড সূত্রে জানা যায়, বিশ্ববিখ্যাত মালয়েশিয়ার প্রোটন ব্র্যান্ডের এক্স৭০ মডেলের এই ‘টকিং গাড়ি’ দেশেই সংযোজন শুরু করেছে পিএইচপি অটোমোবাইলস লিমিটেড। এ গাড়িতে রয়েছে দেড় লিটারের টার্বো ইঞ্জিন, ম্যানুয়েল মোডসহ সেভেন-স্পিড ডুয়েল ক্লাচ ট্রান্সমিশন, প্যানারমিক সানপ্রুফ, ৩৬০ ক্যামেরা অ্যান্ড পার্কিং সেন্সর, অটো ডুয়েল জোন এয়ার-কন্ডিশনিং, ছয়টি এয়ারব্যাগ, টায়ার প্রেসার মনিটরিং সিস্টেম ও এয়ার পিউরিফায়ার সিস্টেম। এছাড়া দুর্ঘটনার সতর্কতা ও লেন ছাড়ার সতর্কতাও দেবে গাড়িটি।
পিএইচপি ফ্যামিলির ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মহসিন বলেন, ভয়েস কমান্ড দিয়ে গাড়িটি পরিচালনা করা যায় বলে এটাকে টকিং গাড়ি বলা হয়। গাড়ি চালানোর সময় হাত ব্যবহার করতে অনেক সময় সমস্যা হয়। সেক্ষেত্রে মুখে কমান্ড করে গাড়ি পরিচালনা করাটা বিস্ময়কর ব্যাপার। এটি বাংলাদেশে প্রথম, যা প্রোটন মডেলে রাখা হয়েছে। বিশ্বের সব আধুনিক প্রযুক্তির সবগুলোই গাড়িটিতে ব্যবহার করা হয়েছে। আর নিরাপত্তা ও পরিবেশ দূষণ রোধের বিষয়কে প্রাধান্য দিয়ে গাড়িটি তৈরি করা হয়েছে।
পিএইচপি অটোমোবাইল লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আকতার পারভেজ বলেন, আমাদের ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেটের শো রুমে এসে প্রোটন এক্স৭০ গাড়িটি নিয়ে টেস্ট গ্রাইভে যেতে পারেন আগ্রহীরা। তিনটি ভিন্ন ভিন্ন রঙের প্রোটন এক্স৭০ মডেলের ব্র্যান্ড নিউ ২০২০ মডেলের এ গাড়িটি কিনলে পাঁচ বছরের ওয়ারেন্টি ও ফ্রি সার্ভিস মিলবে। এছাড়া পাঁচ বছরের ‘বাই ব্যাক অফার’ ও ‘রিপ্লেস কার’ সুবিধাও আছে।
আনন্দবাজার/ডব্লিউ এস