ঢাকা | শুক্রবার
১৮ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
২রা কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভালো নেই মৌ-চাষিরা

করোনাভাইরাসের কারণে লকডাউনের জেরে এবং ঘূর্ণিঝড় আম্পানের কারণে চলতি বছরে কমে গেছে পশ্চিমবঙ্গের মধু উৎপাদন। এতে চরম আর্থিক সংকটে পড়েছেন মৌ-চাষীরা।

জানা যায়, মৌমাছিদের বাঁচিয়ে রাখার জন্য আর্থিক সংকটের মধ্যেও গত এপ্রিল মাস থেকে কেজি কেজি চিনির পানি খাওয়াচ্ছেন চাষিরা। কারণ, পর্যাপ্ত খাবার না দিলে মৌমাছিরা চাষের বাক্স থেকে উড়ে যায়।

জানা গেছে, অনেক দুস্থ মৌ চাষি চিনির জোগানই করতে পারেননি। ফলে তাদের বাক্স থেকে মৌমাছি উড়ে গেছে। এছাড়া ঘূর্ণিঝড় আম্পানে গাছ পড়ে অনেক মৌমাছি ভর্তি বাক্স নষ্ট হয়ে গেছে। সব মিলিয়ে পশ্চিমবঙ্গের কয়েক হাজার মৌ-চাষি সমস্যার মধ্যে রয়েছেন।

উত্তর ২৪ পরগনা জেলা সূত্র জানায়, প্রতি বছর অগ্রহায়ণ মাস থেকে মধুর উৎপাদন শুরু হয়। চৈত্র ও বৈশাখ মাসে সব থেকে বেশি মধু পাওয়া যায়। কিন্তু এ বছর মার্চের শেষ থেকে লকডাউন শুরু হয়ে যাওয়ায় চরম সমস্যায় পড়েছেন মৌ-চাষিরা।

রাজ্য সরকারের তথ্যানুযায়ী, গত বছর পশ্চিমবঙ্গ থেকে প্রায় ১৬ হাজার টন মধু কিনেছিল বিভিন্ন সংস্থা। এ বছর এখনও অব্দি মধু বিক্রি হয়েছে প্রায় পাঁচ হাজার টন। বাকি প্রায় পাঁচ হাজার টন মধু মজুদ আছে। এ পরিস্থিতিতে মার্চের শেষ থেকেই সেভাবে মধু সংগ্রহ করতে পারেননি মৌ-চাষিরা। একারণেই মধুর দাম বাড়ার আশঙ্কা করছেন বাজার বিশেষজ্ঞরা।

আনন্দবাজার/টি এস পি

সংবাদটি শেয়ার করুন