ঢাকা | শনিবার
২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পিরোজপুরে জমে উঠেছে চাইয়ের বাজার

 নালা খাল এই তিনে বরিশাল তাইতো বর্ষায় নতুন পানি আসার সাথে সাথে খাল-বিল, নদ-নদীতে দেখা মেলে বিভিন্ন প্রজাতির দেশীও প্রজাতি মাছের আনাগোনা। আর এসব মাছ ধরতে ব্যবহার হয় চাই বা দুয়ায়ীর অথবা খাদোইন।

পিরোজপুর জেলার স্বরুপকাঠি উপজেলার জগন্নাথকাঠি বাজারে এবং নাজিরপুর উপজেলার শ্রীরামকাঠী বন্ধরে জমে উঠেছে এসব মাছ ধরার যন্ত্রের হাট। সপ্তাহের রবি ও সোমবার এই দুদিন এ বন্ধরে হাজার হাজার মাছ ধরার চাই খুচড়া ও পাইকারী দরে বিক্রী হচ্ছে। স্বরুপকাঠি উপজেলার কাটাপিটানিয়া ও উড়িবুনিয়া সহ বিভিন্ন গ্রামে এবং নাজিরপুর উপজেলার বিভিন্ন এলাকার বহু পরিবার চাই ও দুয়ারি তৈরীর সংঙ্গে জড়িত। বছরের বর্ষা মৌসুমের ৬ মাস তারা এ মাছ ধরার যন্ত্র তৈরির কাজে ব্যাস্ত থাকেন।

তল্লা ও কালী জিরা বাশঁ দিয়ে এ যন্ত্র তৈরি করা হয়। একটি বাশঁ দিয়ে ১০ থেকে ১২টি চাই তৈরি করা হয়। তবে একজন কারিগর একদিনে ৫ থেকে ৬ টির বেশি চাই তৈরি করতে পারে না।স্বরুপকাঠি উপজেলার জগন্নাথকাঠি বন্দরে প্রতি সোমবার ও বৃহস্পতিবার এবং নাজিরপুরের শ্রীরামকাঠি বন্দরে প্রতি রবি ও বুধবার হাটে এ মাছ ধরার যন্ত্র বিক্রি হয়। বাজারে ১০০ শত চাই ৪ হাজার টাকা থেকে ৫ হাজার পাচঁ শত টাকা পর্যন্ত বিক্রী হয়ে থাকে। এ ছাড়া এক পিস চাই ৪০ টাকা থেকে ৬০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়। এসব যন্ত্র তৈরির জন্য একটি বাশঁ কেনেন ১৫০ থেকে ২০০ টাকার মধ্যে।

এ যন্ত্রে ছোট মাছসহ বেশির ভাগে চিংড়িমাছ আটকা পাড়ে। চাই তৈরির কারিগর আনন্দ মিস্ত্রী জানান, তার পরিবারের সবাই মিলে বর্ষা মৌসুমের ৬ মাস চাই তৈরির কাজ করেন। বাশঁ কেনা থেকে শুরু করে সর্ম্পূন চাই তৈরি করতে যে কষ্ট আর খরচ হয় সে তুলনায় লাভ বেশি হয়না। তবে এ শিল্প এখন প্রায় বিলুপ্তির পথে। দিন দিন খাল-বিল নদীর সংখ্যা কমে যাওয়ায় মাছ শিকারীর সংখ্যাও কমে গেছে। যার কারনে চাইয়ের চাহিদাও কমে গেছে।

বর্তমান সব জিনিসের দাম বেশি সে তুলনায় চাইয়ের দাম ভাল পাচ্ছেন না। সরকার এ শিল্প বাচাতে স্বল্প সুদে ঋন দিলে তাদের কর্যক্রম আরো গতীশিল করতে পারতেন।

আনন্দবাজার/এফআইবি

সংবাদটি শেয়ার করুন