লাদাখের গলওয়ান উপত্যকায় সংঘর্ষের পর ভারত ও চীনের মধ্যকার উত্তেজনার পারদ কিছুটা কমলেও সমস্যা সমাধানের কোনো লক্ষণই এখন পর্যন্ত দেখা যাচ্ছে না। বুধবারের পর গতকাল বৃহস্পতিবারও ভারত-চীন মেজর জেনারেল পর্যায়ের বৈঠকও নিষ্ফল হয়েছে।
টানা ৬ ঘণ্টা বৈঠক করেন দুদেশের সেনা কর্মকর্তারা। কিন্তু তাতেও মিলছে না এর সমাধান। বরং লাদাখ সীমান্তে নিজেদের শক্তি আরও দ্বিগুণ করছে পিপল্স লিবারেশন আর্মি।
অন্যদিকে সীমান্তে পাল্টা শক্তি দেখাতে আজ ১২টি সুখোই ও ২১টি মিগ-২৯ যুদ্ধবিমান চেয়ে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের কাছে প্রস্তাব জমা দিয়েছে ভারতীয় সেনাবাহিনী। যা কিনতে খরচ হবে ৫ হাজার কোটি টাকা উপরে।
তবে সমস্যা সমাধানে ভারতের হাতে আলোচনা ছাড়া অন্য কোনো রাস্তা খোলা নেই। অবে গত দুদিনের আলোচনায় অগ্রগতি হয়নি এক চুলও।
চীনা বিদেশ মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ঝাও লিজিয়ন বলেছেন, গলওয়ান উপত্যকায় যে গভীর উদ্বেগজনক সংঘাত ঘটেছে, সে বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার ব্যাপারে দুদেশই সহমত। শান্তি সুরক্ষিত রাখা ও উত্তেজনা প্রশমনের লক্ষ্যে আলোচনা চলছে। সামগ্রিক পরিস্থিতি এখন স্থিতিশীল ও নিয়ন্ত্রণে।
গত সোমবার রাতে লাদাখ সীমান্তের গলওয়ান উপত্যকায় দুদেশের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে অন্তত ২৩ ভারতীয় সেনা নিহত হন।
আনন্দবাজা/শহক
