করোনা পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সব কিছু সীমিত আকারে চললেও বিপাকে রয়েছে পঞ্চগড়ের ডেকোরেটর ব্যবসায় সংশ্লিষ্টরা।
জনসমাগম এড়িয়ে চলা এবং সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতকরণে সভা-সমাবেশ, ওয়াজ মাহফিল, সাংস্কৃতিক, সংবর্ধনা ও ভোজন অনুষ্ঠানসহ সব রকমের কর্মসূচী নিষিদ্ধ থাকায় গত তিনমাস থেকে দিন ভালো যাচ্ছেনা ডেকোরেটর মালিক ও শ্রমিকদের।
ব্যবসা সচল না থাকায় দোকান ভাড়া আর শ্রমিকদের নিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে জেলার দুই শতাধিক ব্যবসায়ীর।
অপরদিকে, কর্মহীন হয়ে পড়া সাত শতাধিক ডেকোরেটর শ্রমিক পরিবার-পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। এখন পর্যন্ত তারা পাননি কোন সরকারি সহায়তা। এমনকি প্রধানমন্ত্রীর প্রণোদনার আড়াই হাজার টাকাও।
জেলায় ডেকোরেটর শ্রমিকদের একটি সংগঠন থাকলেও এতে নজর নেই দায়িত্বশীলদের। শ্রমিকরা জানান, সংগঠনের পক্ষ থেকে সহায়তা চেয়ে স্থানীয় প্রশাসন বরাবর আবেদন করেও কোন সুফল পাওয়া যায়নি।
বোদা উপজেলা সদরের হ্যাপী ডেকোরেটরের কর্মচারী আরিফ হোসেন বলেন, ‘প্রায় তিন মাস থেকে কাজ নেই, নেই আয় রোজগারও। তাই অভাব অনটনের মধ্যে জীবন যাচ্ছে। জানিনা, আর কত দিন এভাবে চলবো।’
পঞ্চগড় ডেকোরেটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক কাজিমুল ইসলাম বলেন, ‘সব কিছুই আগের মত সচল হলেও আমাদের কর্মের প্রাণ ফিরে পেতে কত সময় লাগবে জানিনা। কিন্তু ততদিন পর্যন্ত কর্মহীন এই শ্রমিকদের দায়িত্ব কে নিবে? এখন পর্যন্ত আমাদেরকে কোন সরকারি সহায়তাও দেয়া হয়নি। সামনের দিনগুলো পরিবার-পরিজন নিয়ে কিভাবে চলবো?’
পঞ্চগড় সদর উপজেলা ডেকোরেটর মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সুলতান মাহমুদ বলেন, ‘সব ব্যবসা প্রতিষ্ঠানই আগের মত চলতেছে। বিধিবাম ডেকোরেটর ব্যবসায়। চলমান পরিস্থিতিতে ডেকোরেটর সংশ্লিষ্টদের দিকে কর্তৃপক্ষের যথাযথ সুনজর কামনা করছি।
আনন্দবাজার/এফআইবি