ঢাকা | শনিবার
২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নতুন বাজেটে আবগারি শুল্ক বাড়ানোর প্রস্তাবে ক্ষুব্ধ গ্রাহকরা

ব্যাংকে জমানো টাকা এবং লেনদেনের ওপর আবগারি শুল্ক বাড়ানোর প্রস্তাবে ক্ষুব্ধ গ্রাহকরা। তারা জানিয়েছেন, করোনার এমন পরিস্থিতিতে আবগারি শুল্ক বাড়ানো হলে তা হবে ব্যাংকে টাকা রাখার মত শাস্তির সামিল।

এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হলে, ব্যাংকে লেনদেন এবং আমানত কমে যাবে বলে মনে করছেন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশের সাবেক চেয়ারম্যান সৈয়দ মাহবুবুর রহমান। অর্থনীতিবিদরাও সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার পরামর্শ দিয়েছেন।

বছরে ১০ লাখ টাকার বেশি লেনদেন করা হয় এমন হিসাবগুলোর ওপর ২০ থেকে ৬০ শতাংশ পর্যন্ত আবগারি শুল্ক বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয় প্রস্তাবিত ২০২০-২১ অর্থবছরের নতুন বাজেটে।

এই ব্যাপারে গ্রাহকদের অভিযোগ, এখন ব্যাংকে টাকা রেখে নামমাত্র মুনাফা পাওয়া যায়। নানা ধরনের ফি এবং ভ্যাট কেটে রাখে ব্যাংক ও সরকার। করোনার এই পরিস্থিতিতে এরসাথে আবগারি শুল্ক আরোপ  গ্রাহকদের জন্য হবে মরার ওপর খাড়ার ঘা।

ঋণের সুদের হার কমানোর জন্য সব ব্যাংকই আমানতের সুদহার নিম্ন পর্যায়ে নামিয়ে এনেছে। এমতাবস্থায় আবগারি শুল্ক বাড়ানোর প্রস্তাব যুক্তিসংগত নয় বলে মনে করেন বিএবির সাবেক চেয়ারম্যান এবং মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মাহ্বুবুর রহমান।

সংকটের এই সময় ব্যাংক এবং গ্রাহকদের বাঁচাতে বাজেটে আবগারি শুল্কের এই প্রস্তাব পুনর্বিবেচনা করার আহ্বান জানান অর্থনীতিবিদেরা। বাস্তবতা বিবেচনা করে অর্থ মন্ত্রণালয় এই প্রস্তাব পুনর্বিবেচনা করবে বলে আশা রাখছেন সব পক্ষরা।

আনন্দবাজার/এইচ এস কে

 

সংবাদটি শেয়ার করুন