ভারতের উত্তরপ্রদেশে একটি বানরকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছে। যদিও বানরটির বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ রয়েছে।
উত্তরপ্রদেশের কানপুর চিড়িয়াখানা সূত্রে জানা গেছে, কালুয়া নামের ওই বানরটি মির্জাপুর জেলায় থাকতো। সেখানে প্রায় ২৫০জন মানুষকে আক্রমণ করেছে সে। তাদের মঝে মারা গেছে একজন।।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বানরটি কালুয়া এলাকারই এক তান্ত্রিকের ছিল। সেই তান্ত্রিক বানরটিকে প্রতিদিন মদ খাওয়াত। অল্পদিনের মাঝেই মদে আসক্ত হয়ে পড়ে বানরটি। তারপর ওই তান্ত্রিক মারা গেলে কালুয়া মদ না পেয়ে রীতিমতো আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে। মির্জাপুরের ত্রাস হয়ে ওঠে কালুয়া।
বন ও চিড়িয়াখানার কর্মীদের দীর্ঘদিনের চেষ্টায় কালুয়াকে ধরতে সমর্থ হয়। তাকে নিয়ে যাওয়া হয় কানপুর চিড়িয়াখানায়। সেখানকার চিকিৎসক বলেন, ‘বেশ কয়েক মাস ধরে আলাদা খাঁচায় কালুয়াকে একা রাখা হয়েছিল। তবুও তার আক্রমণাত্মক মনোভাবে কোন পরিবর্তন আসেনি। দিনদিন তা বাড়তে থাকে। প্রায় তিন বছর তাকে চিড়িয়াখানায় আটকে রাখার পরও কোন পরিবর্তন আসেনি।’
চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ জানান, কালুয়াকে এখন ছাড়া হলে আবার সে মানুষের উপর আক্রমণ করবে। তাই তাকে মৃত্যুদণ্ডই দেওয়া হচ্ছে।
আনন্দবাজার/এফআইবি