বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে নতুন রেকর্ড গড়লো বাংলাদেশ। দেশের ইতিহাসে ৩ হাজার ৪শ’ কোটি ডলার ছাড়িয়েছে রিজার্ভ। করোনা মহামারিতে আমদানি কমা, বিদেশি ঋণ ও সহায়তা বৃদ্ধিই এর পেছনে বড় নিয়ামক হিসেবে কাজ করেছে বলে মনে করেন অর্থনীতিবিদরা।
তবে করোনার প্রকোপে প্রবাসী শ্রমিকদের কর্মসংস্থান ও রফতানি আয় না বাড়লে রিজার্ভের এ রেকর্ড ধরে রাখা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা।
এক কোটির মতো বাংলাদেশি শ্রমিক বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কাজ করেন। করোনার প্রকোপে চলতি বছরের মার্চ থেকেই প্রবাসী আয় আসার গতি কমে যায়। এপ্রিল ও মে মাসে গত বছরের তুলনায় ৫৯ কোটি ডলার কম আসে রেমিট্যান্স। তবে প্রতিবারের মতো ঈদের আগে রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়লেও মে মাসে তা আগের বছরে মে মাসের তুলনায় সাড়ে ২৪ কোটি ডলার কম ছিল। এমন নিম্নমুখী প্রবাসী আয়ের পরিস্থিতিতেও চলতি মাসে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছাড়ায় ৩৪ বিলিয়ন ডলারের মাইলফলক।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক কাজী সাইদুর রহমান বলেন, আইএমএফ এর টাকা ঢুকেছে। এডিবির ৫০০ মিলিয়ন ঢুকেছে আরও উন্নয়ন সহযোগীর টাকা আসছে। বিভিন্ন ব্যাংকের টাকা রাখা আছে আমাদের কাছে। রেমিট্যান্স জুনের এক দুই তারিখে ১৩৫ মিলিয়ন আসছে। গতি ভালোই, আমদানি গতি স্লো, রিজার্ভ বাড়বে, জুনের শেষে ৩৫ বিরিয়ন হবে।
অর্থনীতিবিদ বিদিশা হক বলেন, রফতানির ক্ষেত্রে বহুমুখীকরণ করা এবং কীভাবে রফতানি আয় বাড়ানো যায় সেজন্য বিভিন্ন দিক নির্দেশনা দেয়া। এবং দ্বিতীয়টি হচ্ছে আমাদের রেমিট্যান্স আয়কে কীভাবে চাঙা করতে হয় তা নিয়ে কর্মসূচির আয়োজন করা।
আনন্দবাজার/ডব্লিউ এস