পাবনার বেড়া উপজেলায় যমুনা নদীর তীরবর্তী চরগুলোতে প্রতি মৌসুমেই প্রচুর বাদাম চাষ হয়ে থাকে। অন্য ফসলের চেয়ে বাদাম লাভজনক হওয়ায় কৃষকরা বাদাম চাষে ঝুঁকছেন।
উপজেলা কৃষি কার্যালয় ও কৃষকদের সূত্রে জানা গেছে, বেড়ার চরাঞ্চলে প্রতিবছর প্রচুর বাদামের আবাদ হয়ে থাকে। এবার উপজেলার আটটি ইউনিয়নের এক হাজার ৩৬০ হেক্টর জমিতে বাদামের আবাদ করা হয়েছে। এসব বাদাম এখন নাকালিয়া বাজার সহ বিভিন্ন বাজারে পাইকারী দরে বিক্রি হচ্ছে।
কৃষকেরা জানান, জানুয়ারির মাঝামাঝি সময় থেকে শুরু করে প্রায় একমাস ধরে কৃষকেরা চরের বালুমিশ্রিত জমিতে বাদাম আবাদ করে থাকেন। আর সেই বাদাম জমি থেকে তোলা শুরু হয় মে মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে। সাধারণত জুনের শেষ সপ্তাহের মধ্যে সব বাদাম কৃষকের ঘরে উঠে যায়। চলতি মৌসুমে প্রচুর বাদাম উৎপাদিত হয়েছে।
প্রতি মণ বাদাম দুই হাজার পাঁচশ থেকে তিন হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পাইকারদের কাছ থেকে বাদাম কিনে বেড়া উপজেলার খুচরা বিক্রেতারা তা কিনে নিয়ে যাচ্ছেন।
সরেজমিনে ঘুরে জানা গেছে, উপজেলার মাসুমদিয়া, রূপপুর, হাটুরিয়া-নাকালিয়া ইউনিয়নের কয়েকটি চরাঞ্চলে গিয়ে দেখা যায় এসব এলাকায় প্রচুর বাদাম উৎপাদন হয়েছে। বাদাম ঘিরেই তারা স্বপ্ন দেখছে। সেসব জমি থেকে কৃষক পরিবারের নারী, শিশুসহ সব সদস্য মিলে বাদাম তুলে নৌকায় করে পাড়ে নিয়ে বাদাম ছাড়াচ্ছেন।
আবার কোথাও কোথাও তাঁরা জমির পাড়ে শুকনা স্থানে বাদামগাছ থেকে বাদাম ছাড়াচ্ছেন। আবার কোথাও বাদাম হাটে পৌছে দেয়া হচ্ছে। রূপপুর ইউনিয়নের বাদামচাষি শরীফ জানান, তিনি নয় বিঘা জমিতে বাদামের আবাদ করেছিলেন। হাটুরিয়া নাকালিয়া বাজারে গিয়ে দেখা যায়, হাটে নতুন বাদাম উঠেছে। বাদামের ভালো দাম পাওয়ায় সবাই আনন্দিত।
আনন্দবাজার/শহক/অকুআ