ঢাকা | বুধবার
১২ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ,
২৯শে মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

১০ হাজার কোটি ডলারের মোবাইল ফোন রফতানির লক্ষ্যে ভারত

নভেল করোনাভাইরাসে (কভিড-১৯) বিপর্যস্ত অর্থনীতিকে আবারও সচল করতে শিল্প উৎপাদন ও রফতানিতে জোর দিচ্ছে ভারত। যার অংশ হিসেবে ভারতের হ্যান্ডসেট শিল্পে বড় আকারের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। আর তা হলো ২০২৫ সালের মধ্যে দেশটি থেকে বিশ্ববাজারে ১০ হাজার কোটি ডলার পরিমাণে মোবাইল ফোন রফতানি করা। পাশাপাশি এ সময়ের মধ্যে আরো ৪ হাজার কোটি ডলারের মতো খাতসংশ্লিষ্ট সরঞ্জাম রফতানি করা। কভিড-১৯ এর কারণে হওয়া ক্ষতি পুষিয়ে আবারো বাজার ব্যবস্থাকে চাঙ্গা করার পরিকল্পনার অংশ হিসেবে এ লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে ইন্ডিয়া সেলুলার অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স অ্যাসোসিয়েশন (আইসিইএ)। রয়টার্স সূত্রে জানা গেছে।

অন্যদিকে এ লক্ষ্যমাত্রাকে বাস্তবায়নে নেওয়া হয়েছে নীতি সহায়তা। কারণ মোবাইল ও প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদি উৎপাদনের মাধ্যমে আগামী তিন থেকে চার বছরের মধ্যে ভারত থেকে রফতানিযোগ্য পণ্যের তালিকায় শীর্ষ অবস্থানে আসার পরিকল্পনা করা হয়েছে। হ্যান্ডসেট অ্যাসোসিয়েশনের মতে, এর জন্য অন্যতম সহায়ক হিসেবে কাজ করবে সরকারের ন্যাশনাল পলিসি অন ইলেকট্রনিক্স (এনপিই-২০১৯) এবং সম্প্রতি সরকার ঘোষিত উৎপাদনে যুক্ত থাকা প্রণোদনা স্কিম।

আইসিইএ মূলত অ্যাপল, মটোরোলা, নকিয়া, ফক্সকম, উইসট্রোন, লাভা, ভিভো এবং অন্যান্য ব্র্যান্ডের মোবাইলের প্রতিনিধিত্বকারী একটি সংগঠন। অ্যাসোসিয়েশনের দেয়া এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, কভিড-১৯-এর কারণে সৃষ্ট টালমাটাল অর্থনৈতিক পরিস্থিতির মধ্যে মহামারী-পরবর্তী উৎপাদন ও রফতানি নিয়ে বৃহৎ পরিকল্পনাকারী শিল্পের মধ্যে ভারতে মোবাইল হ্যান্ডসেট খাতই প্রথমস্থানে। যারা ২০২৫ সালকে লক্ষ্য হিসেবে ধরে কার্যক্রম শুরু করেছে।

আইসিইএর চেয়ারম্যান পঙ্কোজ মহিন্দ্রো জানান, কভিড-১৯ মহামারী-পরবর্তী অর্থনীতি টেনে তোলার কৌশলে নেতৃত্ব দিতে ভারতের মোবাইল এবং সরঞ্জামাদি উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো প্রস্তুত রয়েছে। আগামী আগস্ট মাসের মধ্যে আমরা শতভাগ উৎপাদনে যাওয়ার আশা প্রকাশ করছি। আর যেহেতু পিএলআই স্কিমের আওতা বাড়ানো হয়েছে, তাই বিশ্ববাজারে ভারত থেকে রফতানি বাড়ানোর পরিকল্পনা করছি। এজন্য এখন কোনভাবেই সময় অপচয় করা যাবে না।

আনন্দবাজার/তা.তা

সংবাদটি শেয়ার করুন