বিশ্বে মানুষের উন্নয়নে শত শত কোটি ডলার অনুদান দিয়ে আসছেন বিল গেটস। কিন্তু সম্প্রতি মাইক্রোসফটের সহপ্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস শিকার হচ্ছেন নানা ষড়যন্ত্রের। করোনার এমন মহামারির মধ্যে তার বিরুদ্ধে মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে নানা ষড়যন্ত্রের তত্ত্ব। অনলাইন-অফলাইন এমনকি সোস্যাল মিডিয়ায় বিল গেটসকে ঘিরে এসব ষড়যন্ত্র তত্ত্ব নিয়ে আলোচনা বেড়েই চলেছে। একটি পক্ষ যখন বিল গেটসকে হেয় করার চেষ্টায় আছে তেমনি পক্ষ তা প্রতিহত করার চেষ্টা।
জানা গেছে, করোনার সংক্রমণ প্রতিরোধ করতে ভ্যাকসিন আবিষ্কারের ক্ষেত্রেও নিজ উদ্যোগে তৎপর রয়েছেন তিনি। যত দ্রুত কার্যকর ভ্যাকসিন আবিষ্কার এবং তা মানুষের হাতে পৌঁছাতে কার্যক্রম জোরদার করেছে, তার প্রত্যক্ষ অর্থায়নে রয়েছে কয়েকটি গবেষণা প্রতিষ্ঠান।
করোনা মহামারীর ভয়াবহ এমন পরিস্থিতিতে বিল গেটসকে কেন্দ্র করে অনেক ষড়যন্ত্র তত্ত্ব অনলাইনে মাথাচাড়া হয়ে উঠার হওয়ার পেছনে ২০১৫ সালে কানাডার ভ্যাংকুভারে এক সম্মেলনে করা একটি মন্তব্য বেশ ভূমিকা রেখেছে বলে মনে করছেন অনেকে। ওই সময় তিনি স্টেজে উঠে যে ভয়াবহ সতর্কতা জারি করেছিলেন, সেই ভিডিও ঘিরেই এখন ছড়িয়েছে নানা ষড়যন্ত্রের তত্ত্ব।
বিল গেটস বলেছিলেন, আগামী কয়েক দশকে যদি কোনো কিছু এক কোটির বেশি মানুষকে হত্যা করে, তবে তা যুদ্ধের চেয়েও অত্যন্ত ভয়ংকর সংক্রামক ভাইরাস হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
গেটসের ওই কথা ওই সময় খুব একটা আলোচিত না হলেও করোনা প্রাদুর্ভাবের পর সেই মন্তব্যের ভিডিও ফুটেজ সাড়ে ছয় কোটির বেশিবার দেখা হয়েছে। কেউ কেউ বিশ্বব্যাপী অভিজাত শ্রেণীর নেতৃত্ব দেয়ার জন্য বিল গেটসের বিপক্ষে অভিযোগ করেছেন। কেউ কেউ ভাবছেন তিনি বিশ্বের জনসংখ্যা কমানোর চেষ্টায় নেতৃত্ব দিচ্ছেন। আবার কেউবা মনে করছেন, তিনি ভ্যাকসিন বাধ্যতামূলক করে তুলছেন, যার মধ্যে তিনি মানুষের শরীরে মাইক্রোচিপ বসাবেন।
আনন্দবাজার/এইচ এস কে