ঢাকা | শুক্রবার
১৮ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
২রা কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ডিপ্রেশনে থাকা ব্যক্তির সাহায্যে এগিয়ে আসবেন যেভাবে

ডিপ্রেশন শব্দটি ছোট হলেও এর ওজন অনেক বেশি। যে ওজন অনেকের জন্য জীবনের প্রশ্ন হয়ে দাঁড়ায়। ডিপ্রেশন বা বিষণ্ণতাকে যতটা তাচ্ছিল্য করে দেখা হয়, মানসিক এই সমস্যাটি ততখানি বড় এবং নেতিবাচক প্রভাব ফেলে মানুষের জীবনে।

একজন ডিপ্রেশন ভোগা মানুষই কেবল জানেন, এটা শুধুমাত্র হালকা মন খারাপ ভাব নয়। কখনো মন ভালো থাকা, কখনো খারাপ- স্বাভাবিক ব্যাপার। কিন্তু নিয়িমিত জীবনের অনেক বড় একটি অংশ যখন মন খারাপের কালো চাদরে ঢেকে যায়, তখনই দেখা দেয় ডিপ্রেশন ।

এখান থেকে বের হওয়ার জন্য প্রফেশনাল সাইক্রিয়াটিস্টের কাছ থেকে পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা, থেরাপি এবং ওষুধ খাওয়ার নিয়ম গ্রহণ করে সবকিছু সঠিকভাবে মেনে চলতে হবে। কিন্তু এখানে একটি বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন খুব বেশি- বিষণ্ণতায় ভোগা মানুষটির আশেপাশের মানুষদের ব্যবহার এবং আচরণ।

কারণ এই সময়ে তার আশেপাশের মানুষের আচরণ ডিপ্রেশনে থাকা একজন মানুষকে শারীরিক কিংবা মানসিক ভাবে আরও দুর্বল করে দেয়। তাই এই সময় বিষণ্ণতায় থাকা মানুষের প্রতি সহানুভূতিশীল হওয়া।

তাদেরকে বুঝতে চেষ্টা করা। ধৈর্য ধারণ করে কি হয়েছে জানতে চেষ্টা করা। এতে একজন মানুষ অনেকটা হালকা হয় এবং আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধান করা যায়।

ডিপ্রেশনের পেছনে বহু কারণ বা ঘটনা থাকে। যার বেশিরভাগই থেকে যায় অজানা। না বলা কথাগুলোই প্রবলভাবে বিষণ্ণতাকে বাড়িয়ে দেয় আর তখনই মানুষ বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ে।এমনকি অএক সময় মানুষ আত্মহত্যাও করে ফেলে। তাই একজন ভালো বন্ধু হিসেবে বিষণ্ণ ব্যক্তির সাথে কথা বলা চাইতেও বেশি গুরুত্বপূর্ণ তাদের কথা মনোযোগ সহকারে শোনা এবং বোঝা।

আনন্দবাজার/এইচ এস কে

সংবাদটি শেয়ার করুন