আগামী ১ জুলাই থেকে কৃষ্ণসাগরীয় এলাকয় শুরু হবে নতুন ২০২০-২১ গমের মৌসুম। চলতি মৌসুমে এ অঞ্চলটি থেকে গম রফতানিতে চাঙ্গা ভাব বজায় আছে। আগামী মৌসুম পর্যন্ত এ ধারা চলবে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক জরিপভিত্তিক প্রতিবেদন। মূলত স্থিতিশীল উৎপাদন এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নে (ইইউ) উৎপাদন হ্রাস এ অঞ্চল থেকে কৃষি পণ্যটির রফতানি স্থিতিশীল রাখতে প্রভাবক হিসেবে কাজ করার সম্ভানা রয়েছে।
জরিপ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২০-২১ মৌসুমে রাশিয়া, ইউক্রেন এবং কাজাখস্তান একযোগ হয়ে ৬ কোটি ২ লাখ টন গম রফতানি করার সম্ভাবনা আছে, গত মৌসুমের তুলনায় যা অপরিবর্তিত। অপরদিকে চলতি বছর তিনটি দেশের সম্মিলিত গম উৎপাদনের পরিমাণ দাঁড়াতে পারে ১১ কোটি ৫২ লাখ টন, গত বছরের তুলনায় যা দশমিক ৮ শতাংশ বেশি।
রাশিয়া বিশ্বের শীর্ষ গম রফতানিকারক দেশ। কিন্তু নভেল করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের পর অভ্যন্তরীণ সরবরাহ নিশ্চিতকরণ, ঊর্ধ্বমূল্য নিয়ন্ত্রণ ও রাষ্ট্রীয় মজুদ বাড়াতে গমসহ বিভিন্ন শস্য রফতানিতে কোটা বেঁধে দিয়েছে দেশটির সরকার, যা আগামী মৌসুমেও অব্যাহত থাকার জন্য ও এটি দেশটি থেকে গম রফতানি বাড়াতে মূল প্রতিবন্ধক হিসেবে কাজ করতে পারে।
কিন্তু গম রফতানিতে রাশিয়ার অনিশ্চিত অবস্থান ইউক্রেনের জন্য বাড়তি সুবিধা বয়ে আনতে পারে। তবে প্রতিকূল আবহাওয়ায় চলতি মৌসুমে ইউক্রেনে উৎপাদিত গমের গুণগত মান নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে। অপরদিকে রাশিয়াতে এবার গত বছরের তুলনায় উৎপাদন কমে এলেও উৎপাদিত গম উচ্চ প্রোটিন সমৃদ্ধ হওয়ায় ২০২০-২১ মৌসুমেও রফতানি চাঙ্গা থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।
আনন্দবাজার/এফআইবি