ঢাকা | বৃহস্পতিবার
১০ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ,
২৬শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বাংলাদেশের অগ্রযাত্রায় হেলিকপ্টার এখন জরুরি বাহন

শুধু বিলাস ভ্রমণেই নয়, মানবকল্যাণে হেলিকপ্টারের ভূমিকা তুলে ধরতে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো ১৮ আগস্ট বাংলাদেশেও ‘ওয়ার্ল্ড হেলিকপ্টার ডে’ পালন হচ্ছে।

প্রত্যন্ত অঞ্চলে জরুরি স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেয়া এবং শিল্পপণ্যের বিদেশি ক্রেতাদের সন্তুষ্টির জন্য অনেকেই বেসরকারি হেলিকপ্টার সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর সহায়তা নিচ্ছেন।

উদ্যোক্তরা বলছেন, বাংলাদেশের অগ্রযাত্রায় হেলিকপ্টার এখন জরুরি বাহন হয়ে উঠছে।

মুক্তিযুদ্ধে একটি অ্যালুয়েট থ্রি হেলিকপ্টার দিয়ে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর ওপর প্রথম আক্রমণ চালিয়েছিলেন বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর বৈমানিকরা। স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের উদ্যোগে রাশিয়া থেকে এক স্কোয়াড্রন হেলিকপ্টার নিয়ে আসা হয়।

চাহিদার সাথে তাল মিলিয়ে সেনাবাহিনী, বিমানবাহিনী, নৌবাহিনী এবং পুলিশে নতুন নতুন হেলিকপ্টার যোগ হয়।

দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থাকে গতিশীল করতে ২০০০ সাল থেকে বেসরকারি খাতে বাণিজ্যিকভাবে হেলিকপ্টার সেবা চালু হয়।

এরপর একে একে নতুন চ্যালেঞ্জ নিয়ে ইমপ্রেস এভিয়েশন, স্কয়ার এয়ার লিমিটেড, মেঘনা এভিয়েশন এবং আরঅ্যান্ডআর এভিয়েশনসহ ১০টি কোম্পানি বাণিজ্যিকভাবে হেলিকপ্টার ব্যবসা শুরু করে।

শুধু বিদেশি ক্রেতাদের যাতায়াতের কাজে নয় বরং জরুরি অবস্থায় দ্রুত উন্নত চিকিৎসা পেতে বেশি হেলিকপ্টার ব্যবহার হচ্ছে বলে জানান মেঘনা এভিয়েশন লিমিটেডের ক্যাপ্টেন উইং কমান্ডার (অব.) মোহাম্মদ দীন ইসলাম।

হেলিকপ্টার সেবার সঙ্গে জড়িতরা বলছেন, আমদানি নীতিমালা উদার করার পাশাপাশি সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষ বাস্তবধর্মী নীতিমালা গ্রহণ করলে এ খাত কর্মসংস্থানের বড় সুযোগ সৃষ্টিসহ অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন