মহামারি করোনা সংকটের কারণে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে ভেঙে পড়েছে পোল্ট্রি শিল্পের চাকা। বিশেষ করে সোনালী মুরগীর খামারিদের লাভ তো দূরের কথা উল্টো গুনতে হচ্ছে মোটা অংকের আর্থিক ক্ষতি। একদিকে ক্রেতা সংকট, অপরদিকে মুরগী পরিচর্যায় এবং ঔধুধের অতিরিক্ত দামের কারনে খামারিরা পড়েছে ক্ষতির সম্মুখীন।
পুষ্টিহীনতার অভাব ও মানসম্মত খাবার না পাওয়ায় বিভিন্ন রোগে অনেক মুরগি ইতোমধ্যে মারা গেছে। ক্রেতা সংকটের কারণে খামারে নিয়মিত পালন করা মুরগীর দাম কমে যাচ্ছে। এতে খামার মালিকরা যেমন আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন তেমনি এ শিল্পের সঙ্গে জড়িত কয়েক হাজার শ্রমিক চরম অর্থকষ্টে দিন অতিবাহিত করছে। খামার মালিকদের দাবি তাদের এ দূর অবস্থা কাটাতে এই সেক্টরে সরকারিভাবে বিশেষ উদ্যোগে ও আর্থিক সহাতায় পাওয়া গেলে এই শিল্প ঘুরে দাঁড়াতে সক্ষম হবে।
সরেজমিনে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ পৌরসভার শিবনগর গ্রামে কৃষিভিত্তিক শিল্প প্রতিষ্ঠান খলিলুর রহমানের পোলট্রি খামারে গিয়ে দেখা যায়, ৩৮ শতক জায়গার অধিকাংশ জুড়ে কয়েকটি শেডে গড়ে তোলা হয়েছে মুরগির খামার। যেখানে প্রায় ১৪ হাজার মুরগি পালন করা হতো। কিন্তু বর্তমানে রাণীক্ষেত ভাইরাস কারনে ২ দিনে মারা যায় ৮ হাজার মুরগী। তারপর এলো মহামারি করোনা ভাইরাস এ কারণে খামারের থমকে গেছে ভাগ্য উন্নয়নের চাকা। আর্থিক সংকটের কারণে সঠিক পরিচর্যার অভাবে মুরগীর উৎপাদনও কমে এসেছে। এছাড়াও দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে খরিদদারেরা মুরগী নিতে আসতো করোনার কারনে তা এখন বন্ধ।
তিনি বলেন, সরকার এ ব্যাপারে পাঁচ হাজার কোটি টাকা প্রণোদনার ঘোষণা দিয়েছে। সেটা পেলে তাৎক্ষণিক ভাবে আমরা একটা ব্যবস্থা করতে পারবো। আমাদের মতো ক্ষতিগ্রস্থ খামারিদের বিষয়ে আমরা ঊর্ধ্বতন কৃর্তপক্ষের সূ-দৃষ্টি কামনা করছি।
আনন্দবাজার/শাহী