করোনার মহামারিতে যেখানে বিবেককে জাগিয়ে বিপদে মানুষের পাশে মানুষ দাড়াঁবে ঠিক সেখানে মানবতাই যেন আজ হারিয়ে গেছে। বেঁচে আছে শুধুই নৃশংসতা। সম্প্রতি কেরালায় অন্তঃসত্ত্বা হাতিকে বিস্ফোরক ভরা আনারস খাইয়ে হত্যার পর থেকেই চলছে ভারতের একের পর এক পশু হত্যাযজ্ঞ।
গতকাল সোমবার (৮ই মে), তামিলনাড়ুর তিরুচির জিয়াপুরমের কাছে একটি ক্ষতবিক্ষত শিয়ালের দেহ উদ্ধার করে বনকর্মীরা। বনদপ্তরের একজন অফিসার জানান, বোমা ভরা মাংস খেয়ে শিয়ালটির মুখ ক্ষতবিক্ষত হয়ে গেছে। বোমা মুখে নেয়া মাত্রই বিস্ফোরণ ঘটে। এর জেরে তীব্র যন্ত্রণায় শিয়ালটি মারা যায়। এই জঘন্য নৃশংস ঘটনায় অভিযুক্ত ১২জনের একটি শিকারি দলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বন অধিদপ্তরের কথায়, দাঁত ও মাংস খাওয়ার জন্যই বাজি ভর্তি মাংসের টোপ দেয়া হয়েছিল শিয়ালটিকে। অভিযুক্তরা হচ্ছে একই গ্রামের বাসিন্দা ও সকলেই জঙ্গলে মধু সংগ্রহ করে। কাজ থেকে বাড়ি ফেরার পথে এলাকায় একটি শিয়ালকে ঘুরে বেড়াতে দেখে তারা। শিয়াল শিকারের জন্য মাংসের মধ্যে দেশি বোমা পুরে রাখা হয়েছিল। সেই মাংস খেয়েই শিয়ালটির চোয়াল উড়ে যায়।
এদিকে, চায়ের দোকানের এককোণে ওই ১২ জনের শিকারি দলটি মরা শিয়ালটিকে ব্যাগে পুরে রেখে দিয়েছিল। সেই দোকানে উপস্থিত ছিলেন এক পুলিশ কনস্টেবল। তার চোখে পড়তেই এই ন্যাক্কারজনক ঘটনাটি সামনে আসে। পুলিশ কনস্টেবল নানাভাবে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করলে তাদের কথায় সন্দেহ তৈরি হয়। শিকার করা শিয়ালটিকে বন দপ্তরে নিয়ে আসার পর বেরিয়ে আসে আসল সত্যটা।
সূত্র: এই সময়।
আনন্দবাজার/শাহী