ঢাকা | বৃহস্পতিবার
১০ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ,
২৬শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কোরবানিতে লবণের চাহিদা দেড় লাখ মেট্রিক টন

সারাদেশে আনুমানিক সোয়া কোটি কোরবানি করা পশুর চামড়া প্রক্রিয়াজাত করতে লবণের চাহিদা প্রায় দেড় লাখ মেট্রিক টন। বিসিক বলছে, সারা বছরের মোট চাহিদার বিপরীতে ১৮ লাখ মেট্রিক টন লবণ উৎপাদন হয়েছে, তাই ঘাটতির আশঙ্কা নেই।

তবে দ্বিমত পোষণ করে লবণ মিল মালিকরা বলছেন, শিল্প লবণের নামে খাদ্য লবণ আমদানি করে লবণ উদ্বৃত্ত দেখানো হচ্ছে। সিন্ডিকেটের কারণে লবণের দাম বেড়ে যাওয়ার শঙ্কায় আছে ট্যানারি মালিকরা।

বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কর্পোরেশন বিসিকের তথ্য অনুযায়ী, দেশে এ বছর পশু কোরবানি হবে প্রায় সোয়া কোটি পশু। বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের হিসেবে প্রতিটি গরুর চামড়ার জন্য ১২ কেজি, ছাগল ও ভেড়ার চামড়ার জন্য ৫ কেজি এবং মহিষের চামড়া প্রক্রিয়াজাত করতে লবণের দরকার ২০ কেজি করে।

বিসিক বলছে, এ বছর লবণের উৎপাদন হয়েছে ১৮ লাখ ২৪ হাজার মেট্রিক টন। তাই চলতি বছর লবণের জোগানে সংকটের আশঙ্কা নেই এদিকে, উৎপাদনের এ পরিসংখ্যানের সঙ্গে একমত নয় লবণ মিল মালিকরা।

সিন্ডিকেট করে কেউ যেন লবণের দাম বাড়াতে না পারে সেজন্য তদারকি বাড়ানোর দাবি ট্যানারি মালিকদের। পশু কোরবানির ৬ ঘণ্টার মধ্যে চামড়ায় লবণ লাগিয়ে সংরক্ষণেরও পরামর্শ তাদের।

সংবাদটি শেয়ার করুন