করোনাভাইরাসের টিকা দেয়ার কথা বলে তিন মেয়ের খতনা করিয়েছেন মিসরের এক বাবা। এ ঘটনায় দেশটির পাবলিক প্রসিকিউটরকে দ্রুত বিচার কার্য শুরুর নির্দেশ দিয়েছে আদালত। ২০০৮ সালে মিসরে খতনা নিষিদ্ধ করা হয় এবং ২০১৬ সালে এটাকে অপরাধ হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হয়।
লোকটির প্রাক্তন স্ত্রী তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগে তিনি জানান মেয়েদের বয়স ১৮ এর নিচে। নাম না জানা একজন ডাক্তারকে খতনা করার কারণে এতে অভিযুক্ত করা হয়েছে। খতনার এই প্রক্রিয়াতে মেয়েদের যৌনাঙ্গের বহির্ভাগ এবং কখনো কখনো ভগাঙ্কুর কেটে ফেলা হয়।
পাবলিক প্রসিকিউটর এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, মেয়েদেরকে বলা হয়েছিল তাদেরকে ভ্যাকসিন দেয়ার জন্য ডাক্তারের কাছে নেয়া হচ্ছে। এর পরিবর্তে তাদেরকে ঘুমের ইনজেকশন দেয়া হয়। ঘুম থেকে জেগে তারা বুঝতে পারে তাদের জোর পূর্বক খতনা করানো হয়েছে।
চার বছর ধরে মিসরে খতনাকে অপরাধ হিসেবে ধরা হলেও মাত্র অল্প কয়েকটি মামলা এখন পর্যন্ত বিচার পর্যন্ত গেছে। এছারা এ পর্যন্ত মাত্র একজন ডাক্তারকে খতনা করার অপরাধে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
ইউনিসেফ এর মতে, মিসরে ৮৭ শতাংশ নারীকে ১৫-৪৯ বছর বয়সের মধ্যে খতনা অথবা female genital mutilation (FGM) এর মধ্যে দিয়ে যেতে হয়। এছাড়া ১৩ শতাংশের মত মেয়েকে ১৪ বছরের আগেই এই প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হয়।
মিসরের বর্তমান আইন অনুসারে, কেউ খতনা করলে ৩-১৫ বছরের জেল দেয়া হয়। আর এতে সহযোগী হিসেবে থাকলে দেয়া হয় সর্বোচ্চ ৩ বছরের জেল।
আনন্দবাজার/ডব্লিউ এস