সম্প্রতি মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলায় গুটি ভাইরাস রোগে আক্রান্ত হয়েছে অর্ধ সহস্রাধিক গবাদি পশু। এসব গবাদি পশু গুটি, খোঁড়া, ফুলাসহ নানা ধরণের চর্মরোগে আক্রান্ত হচ্ছে। আক্রান্ত এলাকা সমুহে পর্যাপ্ত সরকারি চিকিৎসা সুবিধা পাওয়া যাচ্ছে না বলে কৃষকরা অভিযোগ তুলেছেন। ইতোমধ্যে এই রোগে আক্রান্ত হয়ে ২টি গরু মারা গেছে। তবে এটি গবাধি পশুর লামথিং স্কিন ডিজিজ রোগ বলে দাবি করছে উপজেলা প্রাণি সম্পদ বিভাগ।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কমলগঞ্জ উপজেলার শমশেরনগর, সদর, আলীনগর, পতনউষার, মুন্সীবাজার, আদমপুর ইউনিয়ন সহ বিভিন্ন এলাকায় গবাদি পশুর ভাইরাস জাতীয় গুটি বসন্ত রোগের সংক্রমণ মারাত্মকহারে বৃদ্ধি পেয়েছে। গবাদি পশুর গলাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুটি, খোঁড়া, ফুলা রোগ দেখা দিচ্ছে। বিগত প্রায় দু’মাস ধরে বিভিন্ন এলাকায় এ রোগের সংক্রমণ দেখা দিয়েছে। এসব রোগে আক্রান্ত হয়ে পনের দিন আগে পতনঊষারের শ্রীসূর্য্য এলাকার অশিত শীল এর একটি ও আলীনগর ইউনিয়নের কামদপুর গ্রামের মনাফ মিয়ার একটি গরু মারা গেছে।
শমশেরনগর ইউনিয়নের সতিঝির গ্রামের সিদ্দিকুর রহমান, পতনউষারের ধূপাটিলা গ্রামের ফটিকুল ইসলাম রাজু ও আলীনগরের মনাফ মিয়া, সুমন মিয়া, আদপুরের সবুজ মিয়াসহ কৃষকরা অভিযোগ করে বলেন, তাদের এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে গবাদি পশু এসব রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে আক্রান্ত প্রায় অর্ধ সহস্রাধিক গরু আক্রান্ত হয়েছে বলে তারা দাবি করেন। তারা আরও অভিযোগ করেন, আক্রান্ত পশুর জন্য সরকারিভাবে ভালো কোন চিকিৎসা সুবিধাও পাওয়া যাচ্ছে না। প্রাইভেট চিকিৎসকদের অধিক মূল্য দিয়ে চিকিৎসা প্রদান করতে হচ্ছে। ফলে করোনা ভাইরাসের এই সময়কালে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হতে হচ্ছে।
এ ব্যাপারে কমলগঞ্জ উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. হেদায়েত আলী সত্যতা স্বীকার করে বলেন, গবাদি পশুর এটি লামথিং স্কিন ডিজিজ। বর্তমানে সবদিকে কমবেশি এ রোগে আক্রান্ত গবাদি পশু দেখা যাচ্ছে। তবে প্রাণি সম্পদ বিভাগের পক্ষ থেকে করোনা ভাইরাসের মধ্যেও যথাসাধ্য চিকিৎসা প্রদান করা হচ্ছে। এসব রোগে আক্রান্ত পশু ভালো হতে কিছুটা সময় লাগে বলে তিনি দাবি করেন। তবে মারা যাওয়া দু’টি পশু বিষয়ে তিনি বলেন, এগুলো হয়তো অন্য কোন রোগ বা ভুল চিকিৎসার কারণে মারা যেতে পারে।
আনন্দবাজার/শাহী