ঢাকা | শুক্রবার
২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চলনবিলে চলছে বেআইনিভাবে মা মাছ শিকার

বর্ষার নতুন পানি আসতেই চলনবিলে চলছে বেআইনিভাবে মা মাছ ধরার প্রতিযোগীতা। নিষিদ্ধ বিভিন্ন জাল ব্যবহার করেও মাছ ধরছে স্থানীয় জেলেরা। এর ফলে হুমকিতে পড়েছে চলনবিলের মাছ উৎপাদন। ডিমওয়ালা মা মাছ নিধনের ফলে বড় ধরনের সংকট দেখা দিতে পারে বলে ধারণা করছেন বিশেষজ্ঞরা।

নাটোর, পাবনা ও সিরাজগঞ্জ জেলার ৮টি উপজেলা নিয়ে গঠিত দেশের সর্ববৃহৎ বিল অঞ্চল চলনবিল। পুরো অঞ্চল জুড়েই এখন চলছে অবৈধ নানা উপায়ে মা মাছ শিকার। অসাধু জেলেরা বিলের বিভিন্ন পয়েন্টে বাদাই ও কারেন্ট জালসহ মাছ ধরার বিভিন্ন উপকরণ দিয়ে দিনে ও রাতে সমানে মা মাছ শিকার করে চলেছে। এসব মাছ হাট-বাজারে প্রকাশ্যে বিক্রি করলেও কেউ দেখার নেই।

চলনবিলের চাটমোহর, ভাঙ্গুড়া, গুরুদাসপুর, সিংড়া ও আত্রাই উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজার, তাড়াশ ও সিংড়া মৎস্য আড়তে দেখা গেছে ডিমে পেট ভরপুর মাছ বিক্রি হতে। টেংরা, পাতাসী, পুটি, মলা, বোয়াল, শোল, মাগুরসহ বিভিন্ন দেশীয় প্রজাতির ডিমওয়ালা মা মাছ গত এক সপ্তাহ ধরেই প্রকাশ্যে বিক্রি হচ্ছে।

স্থানীয় মৎস্য অফিস সূত্র জানায়, সাধারণত জুন-জুলাই মাসে ডিম ছাড়ে মা মাছগুলো। বর্ষা শুরু হলেই চলনবিলের মাছগুলো ডিম ফুটাতে থাকে। যেকারণে এই সময়টাতে মাছ ধরা একেবারেই নিষিদ্ধ। ১৯৫০ সালের মৎস্য আইন অনুযাযী ডিম এবং মা মাছগুলো শিকার করা আইনগত ভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

সিংড়া উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা ওয়ালিউল্লাহ মোল্লা বলেন, বিলে নতুন পানি আসার কারণে কিছু অসাধু জেলেরা মা মাছগুলো শিকার করছে। আমরা প্রথমে মাইকিং এরপর অভিযান শুরু করবো। চলনবিলে মা মাছ রক্ষার কোন বিকল্প নেই।

আনন্দবাজার/ডব্লিউ এস

সংবাদটি শেয়ার করুন