ঢাকা | সোমবার
১৪ই এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ,
১লা বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আম্পানে ঝিনাইদহের আম চাষিদের স্বপ্ন ভেঙে লণ্ডভণ্ড

দিনকে দিন বেড়েই চলেছে করোনার আক্রমণ। তার উপর ঘূর্ণিঝড় আম্পানের তান্ডবে ক্ষয়-ক্ষয় ক্ষতির পরিমাণ বেড়েই চলেছে। একদিকে ভাইরাস অন্যদিকে ঘূর্ণিঝড় সব মিলিয়ে দেশ এখন প্রায় লন্ডভন্ড।

সম্প্রতি ঘূর্ণিঝড় আম্পানের তাণ্ডবে লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে ঝিনাইদহের গান্না ইউনিয়নের কাশিম নগর গ্রামের চাষিদের ৩ হাজার বিঘা জমিতে করা আমরুপালি সহ বিভিন্ন জাতের আমের বাগান। এখন গাছে আর কোনো আম নেই। সব ঝরে গেছে। পুরো গ্রামের চিত্র একই। সংরক্ষণের সুযোগ না থাকায় ঝরে পড়া আম গাছের নিচে মাটিতেই পড়ে আছে। চাষিরা বলছেন এই আম কেনার মত কেউ নেই।গাছের নিচে থেকে আম পরিস্কার করতেও এখন অনেক টাকার জন খরচ লাগবে।

এদিকে, কাশিম নগর গ্রামের প্রায় শত ভাগ মানুষই আম চাষি। ঐ গ্রামে আড়াই হাজার থেকে তিন হাজার বিঘা জমিতে আম চাষ করে দেশের ঢাকা, রাজশাহী, বরিশাল, চট্রগ্রাম, মাদারিপুর, খুলনা, যশোরসহ বিভিন্ন জেলাতে আম রপ্তানি করে চাষিরা প্রতি বছর প্রায় ৩০ থেকে ৩৫ কোটি টাকা আয় করেন।

গত প্রায় তিন মাস ধরে করোনাভাইরাস কৃষকের জীবন বিপর্যস্ত করে তুলেছে। তার উপর নতুন করে ঘূর্ণিঝড় আম্পান এসে কৃষকের পুরো কোমর ভেঙে দিয়েছে। আম্পান যে ক্ষতি করে দিয়ে গেছে, তা কাটিয়ে উঠতে কত দিন লাগবে, তা কেউই বলতে পারছে না। এদিকে সারা দেশে আমের কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, মিডিয়াতে তার একটি ধারণা দিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান। তিনি জানান, সারা দেশে ১৫০ কোটি টাকার সমপরিমাণ আমের ক্ষতি হয়েছে।

এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি অফিসার মুফাখ্খারুল ইসলাম জানান, আমরা উপ-কৃষি অফিসারদের মাধ্যমে প্রতি ইউনিয়নে ইউনিয়নে খোঁজ নিয়ে একটি তালিকা করে জেলা কৃষি অফিসে পাঠিয়েছি। জেলা অফিস থেকে তারা মন্ত্রণালয়ে পাঠাবে এরপর ওখান থেকে যে নির্দেশনা আসে সে অনুযায়ী আমরা পদক্ষেপ নিতে পারবো।

আনন্দবাজার/শাহী

সংবাদটি শেয়ার করুন