চলতি রবিশস্য মৌসুমে ধান, গম, সরিষা, ভুট্টা, বাদাম এবং বিভিন্ন শাক-সবজির পাশাপাশি পাতি চাষ করছেন নওগাঁর রাণীনগরের চাষীরা। ওই এলাকায় জৈষ্ঠ্য মাসে চাষিদের সংসারের প্রয়োজনীয় খরচ মেটাতে বিক্রয়যোগ্য তেমন কোনো ফসল ফলে না। সেজন্য এ চাষের দিকে ঝুঁকছেন তারা।
ওই এলাকায় পাতি চাষ এখন অসময়ের বন্ধু হিসেবে খ্যাতি লাভ করেছে। এখন অধিকাংশ কৃষকের বাড়িতেই পাতি কাটা ও শুকানোর কাজ শুরু হয়েছে। ব্যাপক চাহিদা থাকায় ফুরফুরে মেজাজে রয়েছেন পাতি চাষিরা।
প্রাকৃতিক দূর্যোগে তেমন ক্ষতি না হওয়ায় এবং স্বল্প পরিমাণ বালাই নাশক প্রয়োগে, উৎপাদন ব্যয় কম এবং লাভ বেশি হওয়ার কারণে ইরি-বোরো ধান চাষের আগ্রহ কিছুটা কমিয়ে বনপাতি ও জলপাতি চাষে ঝুঁকছেন কৃষকরা। একসময় এই জনপদে পাতি চাষ না হলেও বর্তমানে চাহিদা থাকায় চলতি মৌসুমে রেকর্ড পরিমাণ পাতি চাষ করেছে উপজেলার কৃষকরা।
উপজেলার পারইল ইউপির বোদলা গ্রামের পাতি চাষি হেলাল মন্ডল বলেন, আমি প্রতি বছরই ধানের পাশাপাশি পাতি চাষ করি। চৈত্র মাস থেকে শুরু করে ইরি ধান ঘরে তোলার আগেই পাতি বিক্রয় করে আমার সংসারের প্রয়োজনীয় সমস্যাগুলো সমাধান করি। চলতি মৌসুমে এক বিঘাতে পাতি চাষ করেছি। এরইমধ্যে প্রথম কাটা শেষ করে পাতিগুলো রোদে শুকানোর কাজ চলছে। খরচ বাদ দিয়ে প্রায় ৩০ হাজার টাকা লাভের আশা করছি।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ শহিদুল ইসলাম বলেন, উপজেলার ৮টি ইউপির মধ্যে ৪/৫টি ইউপিতে বিগত বছরের তুলনায় বেশি পাতি চাষ হয়েছে। কুটির শিল্পের মাদুর তৈরির প্রধান উপকরণ পাতি। পরিবেশ বান্ধব হওয়ায় বাজারে এর ব্যাপক চাহিদা আছে। এছাড়া লাভ বেশি হওয়ার কারণে কৃষকরা অন্যান্য ফসলের পাশাপাশি পাতি চাষ করেছে।
আনন্দবাজার/টি এস পি