আম্পানের আঘাতে ঝরে গেছে রাজশাহীর আম বাগানের ১৫ শতাংশ আম। ঝরে পড়া এসব আম বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৪ থেকে ৫ টাকা কেজি দরে। পাইকারিভাবে যা বিক্রি হচ্ছে কেজিতে মাত্র দেড় থেকে দুই টাকা দরে।
আম্পানে রাজশাহীতে ক্ষতি হয়েছে প্রায় ১১০ কোটি টাকার আমের। ঝরে পড়া বেশিরভাগ আম পচে নষ্ট হচ্ছে আমবাগানেই। যেকারণে লোকসান গুনতে হচ্ছে আমচাষী ও বাগান মালিকদের।
রাজশাহীর কাটাখালীর সমসাদিপুর গ্রামের আম ব্যবসায়ী আব্দুর রাজ্জাকের ৫০টি আম বাগান ইজারা নেওয়া আছে। তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড়ে ৫০টি বাগান থেকে ২০০ থেকে ৩০০ মণ আম ঝরে পড়ে গেছে। বেশিরভাগ আমই গাছের নিচে পড়ে নষ্ট হয়েছে। আর কিছু আম বাগান দেখাশোনার কাজে নিয়োজিত লোক, পাড়াপ্রতিবেশী কুড়িয়ে নিয়ে বিক্রি করেছেন।
তিনি আরও বলেন, আমার বাগানের ৫০ শতাংশ আমই ঝরে গেছে। তা-ও যদি করোনাভাইরাস না থাকত, এই ঝরে পড়া আমই বিক্রি হতো ১৫ থেকে ২০ টাকা কেজি দরে। এখন বিক্রি করতে চাইলেও নেওয়ার লোক নাই।
আরেক বাগান মালিক কুদ্দুস আলী বলেন, বাগানেই বেশিরভাগ আম পচে নষ্ট হয়। আর কিছু আম বাগানের আশেপাশের লোকজন, পাহারাদাররা নিয়ে গিয়ে বিক্রি করেন। ঝড়ে পড়া আম বিক্রি থেকে এক টাকাও পকেটে আসে না। ফলে লোকসান যা হওয়ার বাগান মালিক ও আমচাষীদেরই হয়।
রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. শামসুল হক বলেন, যেসব গাছ বড়, প্রধানত সেইসব গাছ থেকেই ঝড়ে আম পড়েছে। ছোট গাছ থেকে আম ঝরে পড়েনি। জেলায় ১৫ শতাংশ আম ঝরে গেছে। পরিপক্ক অবস্থায় বিক্রি করলে যার বাজারমূল্য ১১০ কোটি টাকা দাঁড়াত।
মো. শামসুল হক আরও বলেন, পাইকারিভাবে দেড় টাকা কেজি দরে আম বিক্রি হচ্ছে। ত্রাণ হিসেবে দেওয়ার পাশাপাশি আচার, জেলিসহ উপাদেয় নানা খাদ্য তৈরি করতে এই আম ক্রয় করলে চাষীরা লাভবান হতেন।
আনন্দবাজার/ডব্লিউ এস