ঢাকা | শুক্রবার
২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাজশাহীতে আম্পানের তান্ডবে ২০ শতাংশ আমের ক্ষতি

উপকূলে আঘাত হানলেও উত্তরের বিভাগীয় শহর রাজশাহীতে রাতভর তান্ডব চালিয়েছে ঘূর্ণিঝড় ‘আম্পান’। প্রলয়ঙ্কারী এই ঘূর্ণিঝড় ক্ষয়ক্ষতি ছাপ ফেলে গেছে রাজশাহীতেও। আর বয়ে যাওয়ার সময় রাজশাহীজুড়েই রাতভর তান্ডব চালিয়েছে ‘আম্পান’।

রাতের আঁধারে প্রবল ঝড়ো হাওয়া ও ভারী বর্ষণে উপজলা পর্যায়ে কাঁচা ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। শহরের বিভিন্ন এলাকায় সাইনবোর্ড হেলে পড়েছে। রাজশাহীর বিভিন্ন বাগানে থাকা প্রায় ২০ শতাংশ আম ঝরে পড়েছে মাটিতে। এছাড়া ঝড়ের সময় এক নারীর প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে।

বুধবার (২০ মে) দিনগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে ঝড়ের সময় আম কুড়াতে গিয়ে মনোয়ারা বেগম (৪২) নামে ওই নারীর মৃত্যু হয়। এদিকে রাজশাহী জেলা প্রশাসক মো. হামিদুল হক বলেন, ঘূর্ণিঝড় আম্পানের প্রভাবে ব্যাপক ঝড়-ঝাপটা গেছে রাজশাহী অঞ্চলের ওপর দিয়ে। প্রবল ঝড়ে রাজশাহীর বাগানের ২০ শতাংশ আম ঝরে গেছে বলে প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হওয়া গেছে।

রাজশাহী জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক শামসুল হক বলেন, বুধবার রাত থেকে রাজশাহীর বিভিন্ন স্থানে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। রাতে তারা জেলা প্রশাসককে ২০ শতাংশ আম ঝরে পড়ার প্রাথমিক তথ্য জানিয়েছেন। তবে সকালে তারা বিভিন্ন বাগান পরিদর্শন করে দেখেছেন ক্ষতির পরিমাণ আরেকটু কম। শহর এলাকায় ১০ শতাংশ এবং রাজশাহীর চারঘাট-বাঘা উপজেলায় গিয়ে ১৫ শতাংশ আম ঝরেছে।

আরো কয়েকটি উপজেলার ঘুরে দেখা হবে তারপরে দিন শেষে একটি ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যাবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। এছাড়া ঝড়ে রাজশাহীর অন্য কোনো ফসলের তেমন ক্ষতি হয়নি। ঝড়ে মাঠে থাকা পাকা ধানগুলো মাটিতে হেলে গেছে। তবে পাকা ধান হওয়ায় চাষিরা তা এখন কেটে নিতে পারবেন। তাই কিছু ধান ঝরে গেলেও ধানের কোনো ক্ষতি হবে না। আর মাঠের সবজির কোনো ক্ষতি হয়নি।

রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক লতিফা হেলেন বলেন, রাজশাহীতে বুধবার ভোর ৬টা থেকে বৃহস্পতিবার (২১ মে) ভোর ৬টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় ৮১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। আর রাত ২টা ৫৫ মিনিট থেকে রাত ২টা ৫৮ মিনিট পর্যন্ত এই তিন মিনিট রাজশাহীর ওপর দিয়ে ৫৯ কিলোমিটার বেগে ঝড় বয়ে গেছে।

আনন্দবাজার/শাহী

সংবাদটি শেয়ার করুন