ঢাকা | বুধবার
১৫ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ,
১লা মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আম্পানে ক্ষতিগ্রস্ত মেহেরপুরের ৬০ শতাংশ আম-লিচু

ঘূর্ণিঝড় আম্পানে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মেহেরপুরের ফল ও ফসল। সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে আম ও লিচুর। যা প্রায় মোট চাষের অর্ধেক। বুধবার রাত পৌনে ১২টা থেকে দেড়টা পর্যন্ত মেহেরপুরের উপর দিয়ে বয়ে গেছে আম্পান। সেসময় বাতাসের গতিবেগ ছিল ৬০ থেকে ৬৫ কিমি।

মেহেরপুর সদর উপজেলার রাধকান্তপুর গ্রামের মোশারফ হোসেন জানান, দীর্ঘদিন ধরে আম বাগান কিনে ব্যবসা করে আসছেন তিনি। এ বছর সাতটি বাগান কিনে ব্যবসা করছেন। কয়েকদিনের মধ্যে আম ভেঙে বিক্রি করতেন। এর মধ্যে আম্পানে তার সব শেষ হয়ে গেছে। ৫টি আম বাগানের প্রায় ৭৫ শতাংশ আম পড়ে গেছে। যেগুলো এখন আচারের জন্য ২-৩ টাকা কেজি দরে আড়তদারদের কাছে বিক্রি করতে হচ্ছে।

মেহেরপুর জেলা প্রশাসক মো. আতাউল গনি বলেন, জেলার তিন উপজেলার ৯টি ইউনিয়নে ৬২০টি পরিবার আংশিক ও ২৫০ পরিবার সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। আম্পানে দুর্গত মানুষের সংখ্যা ২১ হাজার। পাঁচ শতাধিক ঘরবাড়ি আম্পানে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। তাদের পূনর্বাসনের জন্য তালিকা তৈরির কাজ চলছে। এ ছাড়া ক্ষতিগ্রস্থ আমচাষীদের পূনর্বাসন করার প্রক্রিয়া চলছে।

মেহেরপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কামরুল হক মিঞা বলেন, জেলায় এ বছর ২ হাজার ৩৫০ হেক্টর জমিতে আম এবং ৬৩০ হেক্টর জমিতে লিচু, এক হাজার ৩৩০ হেক্টর জমিতে কলার আবাদ করেছেন চাষীরা। এর মধ্যে আম -লিচু ৫০ থেকে ৬০ শতাংশ আম্পানে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। কলা ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে ২০ শতাংশ। এ ছাড়া ৯৮ শতাংশ ধান হার্ভেষ্টিং হয়ে যাওয়ায় ধানের তেমন ক্ষতি হয়নি। ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণের হিসাব নিকাশ করে খামারবাড়িতে পাঠানো হবে।

আনন্দবাজার/টি এস পি

সংবাদটি শেয়ার করুন