সম্প্রতি ভোলার মূল জায়গা থেকে বিচ্ছিন্ন বিভিন্ন দ্বীপের মানুষকে আশ্রয় কেন্দ্রে নেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে চরফ্যাশনের, মনপুরা তজুমুদ্দিন এবং দৌলতখানের অনেক চর থেকে ৭০ হাজার মানুষকে নিরাপদ আশ্রয় নেওয়া হয়েছে।
ভোলার ঝুঁকিপূর্ণ এসব চরের প্রায় ৩ লাখ মানুষকে আশ্রয় কেন্দ্রে নেওয়ার কাজ শুরু করছে জেলার প্রশাসন। বর্তমানে যারা আশ্রয় কেন্দ্রে অবস্থান করছেন তাদের জন্য তিন বেলা খাবারের ব্যবস্থা করেছে প্রশাসন।
ঘূর্ণিঝড় আম্পানের জন্য ত্রান মন্ত্রনালয় থেকে ২০০ মেট্রিক টন চাল, ৭ লক্ষ নগদ অর্থ, ৩ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার এবং শিশু খাদ্য অসহায় মানুষদের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে।
সকাল থেকে উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে নৌ বাহিনী, নৌ পুলিশ, জেলা পুলিশ এবং কোস্টগার্ডের সহযোগিতায় মানুষকে আশ্রয় কেন্দ্রে নেওয়ার কাজ শুরু করা হয়। তবে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশু, প্রতিবন্ধী ও বয়স্কদের জন্য আলাদঅভাবে স্বেচ্ছাসেবী কর্মী মাঠে নিরলস ভাবে কাজ করছে।
এ দিকে জেলায় ৭ নাম্বার বিপদ সংকেত থাকায় সিপিপি এবং রেডক্রিসেন্ট কর্মীরা ভোলার উপকূলের মানুষদের নিরাপদ আশ্রয় কেন্দ্রে নিতে সোমবার রাত থেকেই মাইকিং করা শুরু করেছে। সিপিপি এবং রেড ক্রিসেন্টের প্রায় ১০ হাজার ভলান্টিয়ার মাঠে কাজ করছে অসহায় মানুষদের নিরাপদ আশ্রয় দিতে।
আনন্দবাজার/এইচ এস কে