করনাভাইরাসের এই পরিস্থিতিতে ভাইরাস সংক্রমন থেকে রক্ষা পেতে মাস্ক ব্যবহার করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু অনেকেই পরিষ্কার এবং সঠিক ভাবে ব্যবহার করেন না। এ ছাড়া তারা কোথা থেকে আসে? কোথায় তারা বাধ্যতামূলক? তাদের জন্য কী মূল্য দিতে হয় ও কোথায় গিয়ে তারা শেষ হয়? অনেকে আবার অনেক কাজের ক্ষেত্রেও নিজের চেহারা ঢাকতেও এই মাস্ক ব্যবহার করে থাকেন।
জাপানে শীত এবং বসন্তে সার্জিক্যাল মাস্ক পরা একটি সাধারন ঘটনা। বর্তমানে বিশ্বব্যাপী প্রায় ৫০টি দেশে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। সেই সাথে প্রয়োজন অনুসারে কিছু জোনেও পরার পরামর্শ দিয়েছে। আবার কোথাও কোথাও শাস্তির নির্দেশও রয়েছে। যেমন সৌদি আরবে ইচ্ছা করে মাস্ক না পরলে ২০০ ডলার জরিমানা, কিন্তু শাদে শাস্তি হিসেবে ১৫ দিনের বেশি জেলও হতে পারে।
অপরদিকে যুক্তরাষ্ট্রের স্টিলওয়াটার ও ওকলাহোমার মেয়র মাস্ক পরার নির্দেশ দিয়েও তা বাতিল করেন। কারণ কিছু মানুষ এটাকে নাগরিক স্বাধীনতা লঙ্ঘনের হুমকিস্বরূপ দেখছিল। অস্ট্রিয়ানরা আবার মাস্ক পরার যে প্রয়োজনীয়তা তা বুঝতে পেরে সবাই মাস্ক ব্যবহার করছে। ফ্রান্সেও এখন মাস্ক পরার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
মাস্কমাস্কের সাপ্লাই সবচেয়ে বড় সমস্যা। এটি বেশির ভাগই উৎপাদন হয় এশিয়ায়, কিন্তু গ্লোবাল স্টকের প্রায় ৫০ ভাগ উৎপাদন হয় চীনে। তবে করোনা শুরুর পর চীন আগে নিজের দেশেই সবচেয়ে বেশি মাস্ক বিতরণ করেছে। চাহিদা অনুযায়ী মূল্যও বেড়েছে মাস্কের। মেডিকেল পণ্য আমদানিকারক সমিতি জানান, লেবাননে মাস্কের মূল্য বেড়েছে প্রায় ২৫ গুণ।
অপরদিকে মূল্য বাড়ার এ সুবিধা নিয়ে নকল মাস্কও অনলাইনে চলে আসে। সেখানে আবার হাসপাতাল থেকে চুরি যাওয়া মাস্কগুলোও ছিল। চীন তাদের উৎপাদন অনেক বাড়িয়ে দিয়েছে। মার্চ এবং এপ্রিলের মাঝামাঝি বিশ্বব্যাপী ২১ বিলিয়ন মাস্ক রফতানি করেছে চীন। এই পরিস্থিতিতে অনেক দেশ আবার নিজ উদ্যোগে মাস্ক উৎপাদন শুরু করেছে।
অনেক দেশ মাস্ক ব্যবহার করে কীভাবে ফেলে দিতে হবে তার সঠিক নির্দেশনা জানা নেই।এই ব্যাপারে ফরাসি রিসাইক্লিং ফার্ম সিটেও ফ্রান্স পরামর্শ দিয়ে বলেছেন, রুমাল, মুখোশ এবং গ্লাভস প্রতিরোধী প্লাস্টিক ব্যাগে ভরে ভালোভাবে মুখ বন্ধ করে যেন ফেলে দেয়া হয়। কারন এটি সঠিকভাবে না ফেলা হলে পরিবেশ গতভাবে মারাত্মক ক্ষতির কারণ হতে পারে।
আনন্দবাজার/এইচ এস কে