দেশের শিল্পাঞ্চলের সাত হাজার ছয়শ’ কারখানার মধ্যে দুই তৃতীয়াংশ কারখানায় পরিশোধ করা হয়নি শ্রমিকদের এপ্রিলের বেতন। পরবর্তী মাসের সাত কর্মদিবসের মধ্যে বেতন পরিশোধের বাধ্যবাধকতা থাকলেও শিল্পাঞ্চলের সাত হাজার ৬০২টি কারখানার মধ্যে শনিবার (১৬ মে) পর্যন্ত বেতন পরিশোধ করতে পারেনি ৫ হাজার ৫০টি কারখানা। বাকি ২ হাজার ৫৫২টি কারখানা তাদের সকল বেতন পরিশোধ করেছে।
রপ্তানিমুখী কারখানার বেতন পরিশোধে প্রণোদনার ব্যবস্থা করেছে সরকার। এরপরও প্রায় এক তৃতীয়াংশ কারখানা এখনো বেতন পরিশোধ করেনি। এ ছাড়া এখনো তিন শতাধিক কারখানা তাদের মার্চের বেতনও পরিশোধ করেনি বলে জানিয়েছে শিল্পাঞ্চল পুলিশ সূত্র।
শ্রমিক নেতা ও বাংলাদেশ গার্মেন্টস ওয়াকাস ফেডারেশনের মহাসচিব বাবুল আখতার বলেন, বড় কারখানার সঙ্গে ব্যাংকের লেনদেন ভালো হওয়ায় তারা ব্যাংকের কাছ থেকে প্রণোদনার ঋণ সুবিধা পাচ্ছে। কিন্তু সমস্যা হবে মাঝারি ও ছোট কারখানা নিয়ে। এসব কারখানা ব্যাংকের কাছ থেকে প্রণোদনার ঋণ পাচ্ছে না। ফলে শ্রমিকদের বেতন পরিশোধেও সমস্যা হবে। আমরা এ বিষয়টি মাননীয় মন্ত্রীকে জানিয়েছি।
বিজিএমইএ’র সাবেক সভাপতি ও সংসদ সদস্য আব্দুস সালাম মুর্শেদী বলেন, স্যালারি শিট ব্যাংকে পাঠানো এবং পরবর্তীতে আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করার কারণে কিছু সময় লাগছে। তবে আগামী ২২ এপ্রিলের মধ্যে বেতন হবে। ঈদের আগে অর্ধেক বোনাসের অর্থ দেওয়া হবে, বাদবাকী অংশ পরবর্তী ছয় মাসের মধ্যে পরিশোধ করা হবে।
আনন্দবাজার/ডব্লিউ এস