জয়পুরহাটের পাঁচবিবিতে বিস্তীর্ণ ইরি-বোরো ধান ক্ষেতে ব্লাস্ট ও পঁচারী রোগের আক্রমণে দিশেহারা হয়ে পড়েছে কৃষক। ইরি-বোরো মৌসুমের শেষ সময়ে এসে এমন সমস্যায় বিপাকে পড়েছেন কৃষকেরা।
ইতোমধ্যে ধান কাটার শুরু হয়েছে। কৃষকদের চোখে-মুখে ফসল ঘরে তোলার আনন্দ। কিন্তু কৃষকের সেই স্বপ্নে আগুন দিয়েছে ব্লাস্ট ও পঁচারী নামের এক প্রকার ছত্রাক রোগ। কীটনাশক প্রয়োগ করেও কোন ফল পাচ্ছে না কৃষক।
সরেজমিনে উপজেলার রতনপুর, সালুয়া, রামভদ্রপুর, উচনা, ধরঞ্জী, নন্দইল, মির্জাপুর, পাড়ইল, কাঁচনা, কড়িয়া ছোট্ট মানিক, বড়মানিকসহ বিভিন্ন ইরি-বোরো ফসলের মাঠ ঘুরে দেখা যায়, কম বেশি প্রায় সব ক্ষেতেই ব্লাস্ট ও পঁচারী রোগের প্রার্দুভাব দেখা দিয়েছে। ক্ষেতে ধানের শীষ বের হওয়ার পরই শীষগুলো আস্তে আস্তে মরে সাদা হয়ে যাচ্ছে।দূর থেকে মনে হয় ধানগুলো পেকে গেছে। কাছে গিয়ে দেখা যায় শীষের সবকটি ধানই চিটে ধরেছে। এতে কোন চাল নেই।
ধরঞ্জী গ্রামের কৃষক ছলেমন জানান, ধানের চারা রোপণের পর ক্ষেতের ধান ভালই হয়েছিল। শেষ সময়ে এসে যখন ক্ষেতে ধানের শীষ বের হবে তখন ধানের গোছা এবং ধানের পাতা পঁচে যেতে থাকে।
উপজেলার উচনা গ্রামের কৃষক গোলাম মোর্তুজার রহমান বলেন, আমার দুই বিঘা জমির ধান ব্লাস্ট ও পঁচারী রোগে সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে গেছে। অনেক টাকা খরচ করে সেচ, হালচাষ, সার ও কিটনাশক প্রয়োগ করে এখন টাকাও গেল, ধানও গেল। এখন আর কোনো আশা নাই।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ লুৎফর রহমান বলেন, ব্রি-২৮ জাতের ধান অনেক পুরনো। এখন এর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম। তাই সরকার ব্রি-২৮ ধান উৎপাদনে নিরুৎসাহিত করছে। কিন্তু কৃষক তা মানছে না। মাঠ পর্যায়ে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা কৃষকদের সার্বক্ষনিক পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছে। তবে নাটিভো ও ট্রুপার ছত্রাকনাশক স্প্রে করলে এটি কমে আসবে।
আনন্দবাজার/ডব্লিউ এস/বি এইচ