ঢাকা | বুধবার
১৬ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ,
১লা শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চলতি অর্থবছরে রপ্তানি আয় কমতে পারে ১২ শতাংশ

চলতি অর্থবছরেই রপ্তানি আয় কমে যেতে পারে ১২ শতাংশ। আর আগামী ৬ বছরের মধ্যে ক্ষতির মুখে পড়তে পারে বাংলাদেশের ৩০ বিলিয়ন ডলারের রপ্তানি বাজার। সম্প্রতি ‘ইউরোপীয় ইউনিয়ন-ভিয়েতনাম’ যে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি হয়েছে, তার প্রভাব বিশ্লেষণে এমন আশঙ্কার কথা জানিয়েছে পোশাক খাতের শীর্ষ সংগঠন বিজিএমইএ। সংগঠনটি বলছে, বাংলাদেশেরও উচিত, যত দ্রুত সম্ভব ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে সুবিধাজনক অন্য কোনো চুক্তি করা। একই পরামর্শ অর্থনীতিবিদদের।

বাংলাদেশ তৈরি পোশাক খাত থেকে যে পরিমাণ রপ্তানি আয় করে, তার ৬০ ভাগের বেশি আসে ইউরোপীয় ইউনিয়ন- ইইউভুক্ত ২৮টি দেশ থেকে। এর বড় কারণ ইউরোপে শুল্কমুক্ত বাজার সুবিধা জিএসপি পেয়ে থাকে বাংলাদেশ। ভিয়েতনামেরও বড় বাজার ইউরোপের দেশ। যদিও বাজারটিতে এতোদিন কোনো শুল্ক সুবিধা পায়নি উন্নয়নশীল এই দেশ।

নতুন করে বাজার দখলেও বেশ দূরদর্শী ও সক্ষমতার পরিচয় দিয়ে আসছে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার টেকসই অর্থনীতির দেশ ভিয়েতনাম। এরই ধারাবাহিকতায় কয়েক বছরের আলোচনা শেষে গেল জুনে ইইউ’র সঙ্গে একটি মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি করেছে দেশটি। নতুন এই চুক্তির ফলে ইউরোপের বাজারে বাংলাদেশের মতোই শুল্কমুক্ত বাজার সুবিধা পাবে ভিয়েতনাম। আর এতেই বাংলাদেশের রপ্তানি আয় কমে যাওয়ার আশঙ্কা উদ্যোক্তাদের।

বিজিএমইএ সভাপতি ড. রুবানা হক বলেন, ভিয়েতনাম ও বাংলাদেশ দুটোই কিন্তু একই ক্যাটাগরি কাভার করে শতকরা ১২ ভাগ। ওই ১২ ভাগে আমরা ডিরেক্টলি ইমপ্যাক্ট পাব। এমন এফটিএটা হয়েছে যে শতকরা ২ ভাগ করে ট্যারিফ কমাতে থাকবে। তাতে আগামী ৫ থেকে ৬ বছরে ৩০ বিলিয়নের মতো ব্যবসা এফেক্টেড হবে।

এ অবস্থায় ইইউ’র সঙ্গে শিগগিরই বিকল্প কোনো চুক্তি করার কথা বলছে বিজিএমইএ।

রুবানা হক আরও বলেন, বাংলাদেশ কি তাহলে এফটিএ তে যাবে? এফটিএ না হলে তাহলে অন্যকিছু হবে। তো সেই ‘অন্যকিছু’টার সন্ধান তো আমাদের পেতে হবে।

অর্থনীবিদদেরও পরামর্শ, বাজার হারানোর আগেই উদ্যোগ নিতে হবে সরকারকে।

সংবাদটি শেয়ার করুন