কেনিয়া ও উগান্ডাকে সহায়তার জন্য মোট ১২৩ কোটি ডলারের জরুরি তহবিল অনুমোদন করেছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। এর মধ্যে কেনিয়ার জন্য ৭৩ কোটি ৯০ লাখ ডলার এবং উগান্ডার জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে ৪৯ কোটি ১৫ লাখ ডলার।
এই ঋণসহায়তা পেলে কেনিয়ার বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কিছুটা বাড়বে, যা চলতি বছর দেশটির ব্যালান্স অব পেমেন্ট ঘাটতি পূরণে খানিকটা হলেও সহায়তা করবে। এ তহবিল দেশটির জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নয়ন এবং করোনার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলোর সহায়তার কাজেও আসবে।
এক বিবৃতিতে আইএমএফ বলেছে, কেনিয়ার অর্থনীতিতে কভিড-১৯-এর প্রভাব হবে অত্যন্ত মারাত্মক। হঠাৎ এ ধাক্কা দেশটিকে ভয়াবহ আর্থিক সংকটের দিকে ঠেলে দিয়েছে।
করোনাভাইরাস এর কারণে কেনিয়ার প্রায় সব খাতই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দেশটির মোট উৎপাদনের এক-তৃতীয়াংশজুড়ে রয়েছে কৃষি খাত। রফতানি কমে যাওয়ায় কেনিয়ার কৃষি খাত মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। রেমিট্যান্স ও কৃষি খাতের আয় কমে যাওয়ায় খাদের কিনারে পৌঁছেছে পর্যটন খাতও।
কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে করোনাভাইরাসের প্রকোপ নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হয়েছে উগান্ডা সরকার। তবে দেশটিতে মারাত্বক ক্ষতিগ্রস্ত করেছে অতিবৃষ্টি ও পঙ্গপাল। আইএমএফ বলেছে, রাজস্ব ঘাটতির কারণে উগান্ডা এই আপদের বিরুদ্ধে যথেষ্ট ব্যবস্থা নিতে পারছে না।
আফ্রিকার শীর্ষ কফি রফতানিকারক উগান্ডার সরকারি ঋণ ২০১৯ সালে ১ হাজার ৩৫০ কোটি ডলারে দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে বিদেশী ঋণদাতাদের কাছে দেশটির দেনা ৬৫ শতাংশ। জুন নাগাদ দেশটির বাজেট ঘাটতি বেড়ে জিডিপির ৮ দশমিক ৭ শতাংশে দাঁড়াতে পারে বলে ধারণা করছে সরকার।
আনন্দবাজার/ডব্লিউ এস