করোনাভাইরাসের ধাক্কা সামলে চীন ঘুরে দাঁড়িয়েছে গত এপ্রিলেই। গত মার্চে রফতানিতে কিছুটা উন্নতির পর এপ্রিলে প্রত্যাশার চেয়ে ভালো ফলাফল পেয়েছে চীন। এপ্রিলে দেশটির রফতানি গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৩ দশমিক ৫ শতাংশ বেড়েছে।
বৃহস্পতিবার দেশটির শুল্ক বিভাগের উপাত্তে দেখা গেছে, এপ্রিলে বিদেশে চীনা পণ্যের চালান গত বছরের একই মাসের তুলনায় ৩ দশমিক ৫ শতাংশ বেড়েছে। গত মার্চে রফতানিতে ৬ দশমিক ৬ শতাংশ পতন এবং রয়টার্সের জরিপে এপ্রিলে ১৫ দশমিক ৭ শতাংশ পতনের পূর্বাভাসের তুলনায় রফতানির এই পরিমাণ বেশ আশাব্যঞ্জক। এছাড়া গত বছরের ডিসেম্বরের পর এই প্রথম রফতানিতে প্রবৃদ্ধি দেখল চীন।
করোনার প্রকোপে বছরের শুরুতে চীনের রফতানি ও আমদানিতে তীব্র পতনের মুখে পড়ে। সংকট কাটিয়ে মার্চে কারখানাগুলো চালু হওয়ার পর পরিস্থিতি কিছুটা শিথিল হয়। তবে বিশ্লেষকরা মনে করছেন, নভেল করোনাভাইরাস সংকটে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে শাটডাউনের প্রভাবে চীনের আমদানি রফতানির চাপ বহাল থাকবে।
অক্সফোর্ড ইকোনমিকসের লুই কুইজেস একটি নোটে বলেন, জোগান সংকটের কারণে প্রথম প্রান্তিকের ঘাটতি পূরণে এপ্রিলে রফতানিকারকরা তাদের চালান বাড়িয়ে দিয়েছেন। কিন্তু পারচেজিং ম্যানুফ্যাকচারিং ইনডেক্সে (পিএমআই) নতুন রফতানি ক্রয়াদেশের দুর্বলতা স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। চীনের প্রধান ব্যবসায়িক অংশীদাররা গভীর মন্দায় পড়ায় নিকটভবিষ্যতে চীনের রফতানি লক্ষণীয়ভাবে দুর্বল হয়ে পড়বে। যদিও আমাদের বেসলাইন পূর্বাভাসে বলা হচ্ছে, চলতি বছরের দ্বিতীয়ার্ধে বৈশ্বিক চাহিদা পুনরুজ্জীবিত হবে।
আনন্দবাজার/ডব্লিউ এস