ব্যস্ত নগরী, মানুষ ছুটে চলে যন্ত্রের নিয়মে। হঠাৎ করেই করোনার থাবায় আটকে পড়ে মানুষ। বন্দি হয়ে যায় চার দেয়ালে মাঝে। ঠিক এই সময়ে প্রকৃতির ফিরে পায় তার জীবন। ক্রমশ নগরীতে বাড়তে থাকে সবুজের সমারোহ। এমন অবস্থায় প্রকৃতি ভালো থাকলেও কেমন আছে বাক্সবন্দী নগরবাসী?
করোনায় ঘরবন্দি জীবন জানান দিচ্ছে, নিঃশ্বাস নেবার জায়গাটুকুও বড়ই অল্প। আকাশপানে বেড়ে চলা সেই জীবনের দেখা মিলবে কবে এমন চিন্তা করছে সবাই। তার পরেও বন্দি এই জীবনে একটু আনন্দ পেতে ছোটদের উচ্ছ্বাসের সঙ্গে প্রাপ্ত বয়স্কদের খুনসুটি যেন এক অন্যরকম অনুভূতি। মনের নানা অভিব্যক্তি প্রকাশের জায়গাও এখন এখানেই গড়ে উঠেছে।
অনেকেই ঘর তুচ্ছ মনে করে মনোযোগ দেয়নি এতকাল, সেই সব মানুষের মনের খোরাক যোগাচ্ছে এখন চার দেয়ালে বন্দি ঘর। এই বন্দি সময়ে একটু সময় পাড় করতে খেলোয়ার থেকে শুরু করে অভিনেতা কিংবা সাহিত্যিক সবাই যেন শিখছে রান্না বা ঘরের কাজ । আবার অনেকে পাড় করছে ভার্চুয়াল যুগের সাথে তাল মিলিয়ে আড্ডায়।
তবে ঘরে বন্দি হয়ে থাকা মানসিক চাপের এই সময়ে, পরিবারের সদস্যদের প্রতি মনোযোগী হবার পরামর্শ সমাজবিজ্ঞানীদের।
সমাজতাত্ত্বিক খন্দকার সাখাওয়াত আলী বলেন, যুক্তিহীনভাবে সাফল্যের দিকে ছুটছি না। করোনা আমাদের অন্তর জগতের দিকে তাকানোর সুযোগ করে দিয়েছে।
যে জনপদে আঘাত হেনেছে মহামারী, তা পাল্টে দিয়েছে সেখানকার মানুষের আর্থ সামাজিক ও চিন্তার প্রেক্ষাপট। করোনা পরিস্থিতিও আমূল নাড়া দিয়ে যাবে প্রতিটি মানুষকে। এই দুযোগ কাটিয়ে প্রত্যাশা, পৃথিবী বাঁচুক ভালোবাসা আর সহমর্মিতায়।
আনন্দবাজার/শহক