করোনাভাইরাসের প্রকোপে দেশের ব্যাংকগুলোতে ডিপিএস-এর প্রায় ৪০ শতাংশ কমেছে টাকা জমা দেয়ার পরিমাণ। নির্দিষ্ট সময়ে টাকা জমা দিতে না পারায় গ্রাহক পর্যায়ে রয়েছে জরিমানার আশঙ্কা। বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, দুর্যোগকালীন কোনো গ্রাহকের কাছ থেকে জরিমানা নিলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে সরকারি-বেসরকারি ব্যাংক কর্তৃপক্ষ জানায়, আপাতত কোনো চার্জ নেয়া হবে না এবং কমবে না লভ্যাংশ।
প্রতি মাসেই গ্রাহকরা ডিপিএসের টাকা জমা দেয়ার জন্য ব্যাংকগুলোতে ভিড় করেন। কিন্তু বর্তমানে করোনা পরিস্থিতিতে ব্যাংকগুলো জরুরি প্রয়োজন ছাড়া গ্রাহক সমাগম নিরুৎসাহিত করেছে। ফলে প্রায় ৪০ শতাংশ কমেছে ডিপিএসের টাকা জমা দেয়ার পরিমাণ।
সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের এসএভিপি শামসুল হক বলেন, সেন্ট্রাল ব্যাংক যদি বলে লকডাউনটা আরও তিন মাস বাড়বে তাহলে তাই কার্যকর হবে।
অগ্রনী ব্যাংক লিমিটেডের উপ ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আনিসুর রহমান বলেন, কেউ গিয়ে জমা দিলে নেওয়া হচ্ছে। আর না দিলেও জরিমানা ছাড়াই পরবর্তীতে জমা দিতে পারবেন।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, ডিপিএস যদিও প্রত্যেকটা ব্যাংকের নিজস্ব ব্যাপার। সরকার যেহেতু লকডাউন করে রাখছে সুতরাং এর ভেতর কেউ যদি ডিপিএস জমা নাও দিতে পারে তাহলেও যেনো কোনো প্রকার জরিমানা সুদ না নেয় সে ব্যাপরে ব্যাংকগুলোর সাথে কেন্দ্রীয় ব্যাংক একটা যোগাযোগ করবে।
আনন্দবাজার/ টি এস পি