অপরিকল্পিত লকডাউন দেশকে ঝুঁকিতে ফেলছে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। হঠাৎ করে শিথিলতা বড় বিপদ ডেকে আনতে পারে বলে জানান তারা। তাই প্রয়োজন সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা। এবং এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে হবে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে।
লকডাউনের একমাস পেরিয়ে সীমিত পরিসরে খুলে দেয়া হয়েছে পোশাক কারখানা এবং দোকানপাট। এছাড়া ঘোষণা এসেছে স্বল্প পরিসরে বিমান ও রেল চলাচলের। ফলে গত কয়েক দিনে সাধারণ মানুষের আনাগোনা বাড়ছে রাস্তায়। হঠাৎ এমন সিদ্ধান্তকে মানতে পারছেন না বিশেষজ্ঞরা।
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক বে-নজির আহমেদ বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশের করোনা সংক্রমণের ধারা অনুযায়ী লকডাউনটা আরো কিছুদিন থাকলে ভালো হয়। শনাক্ত ও চিকিৎসা ব্যবস্থা আরো জোরদান করা দরকার। এই যে লকডাউন প্রত্যাহার করার কারণে যদি রোগী অনেক বেড়ে যায়। তাহলে আমাদের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা অনেক ঝুঁকির মধ্যে পড়ে যাবে।
তিনি আরও বলেন, কারখানা মালিকদের দায়বদ্ধতা থাকতে হবে। স্বাস্থ্য বিভাগ সহ অন্য সব সংস্থার সাহায্যে এগিয়ে গেলে, সেটাই দেশের জন্য অনেক উপকারী হবে।
এ প্রসঙ্গে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় অতিরিক্ত সচিব মো. হাবিবুর রহমান খান বলেন, বিষয়টিকে আত্মঘাতী বলা যাবে না। যদি স্বাস্থ্যগতভাবে দেখি, তাহলে ভাববো এটা খুলে দেয়ার দরকার নেই। যদি মানুষের জীবিকার বিষয়টি দেখতে হয়, তাহলে লকডাউন খুলেই দিতে হবে।
আনন্দবাজার/ টি এস পি