বিশ্বব্যাপি মহামারির আকার ধারণ করেছে করোনাভাইরাস। দিন দিন বেড়েই চলছে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। করোনাভাইরাসের সাধারণ উপসর্গ হল জ্বর, সর্দি, কাশি, হাঁচি এবং গলাব্যথা। শেষ পর্যন্ত এই ভাইরাস ফুসফুসেও আঘাত হানে। এ কারণে রোগীর শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়। এমনকি এতে রোগীর মৃত্যুও হতে পারে।
নিয়ম মেনে খাওয়া-দাওয়ার সাথে কয়েকটি বিশেষ খাবার খেলে ফুসফুসের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। বিশেষ করে যাদের ফুসফুস একটু দুর্বল।
পিয়াজ ও রসুন: প্রদাহের প্রবণতা কমিয়ে দেয়। সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করার শক্তি জোগায়। ‘জার্নাল অব ক্যানসার এপিডেমিওলজি’ ও ‘বায়োমার্কারস অ্যান্ড প্রিভেনশন’-এ প্রকাশিত প্রবন্ধে বিজ্ঞানীরা বলেছেন, যে সব ধূমপায়ী কাঁচা রসুন খান ফুসফুসের বিভিন্ন অসুখে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা প্রায় ৪০ শতাংশ কমে যায় তাদের।
আদা: প্রদাহ কমিয়ে থাকে। সল্প করে আদা কুচি নিয়মিত খেলে ফুসফুসের স্বাস্থ্য ভাল থাকে।
হলুদ: হলুদের কারকিউমিন প্রদাহ কমায়। বেঙ্গালুরুতে ৭৭ জন হাঁপানি এবং সিওপিডি রোগীকে ৩০ দিন ধরে কারকিউমিন ক্যাপসুল খাইয়ে বিজ্ঞানীরা লক্ষ করেছেন, তাঁদের কষ্ট অনেক কমে গেছে।
ফল এবং সবজি: আপেল, পেয়ারা, শসা, সবেদা এই সব ফল ফুসফুসের যত্নের জন্য খুবই ভাল। আপেল এবং বাতাবি লেবুর ফ্ল্যাভেনয়েড ও ভিটামিন সি নিশ্চিতভাবে কার্যকারিতা বাড়ায় ফুসফুসের। গাজর, কুমড়ো, বেল পেপারে থাকে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ভিটামিন সি। সারা শরীরের পাশাপাশি ফুসফুসের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এই সব সবজি।
বিভিন্ন ধরনের বিন ও বীজ: এই সব খাবারে অন্যান্য উপকারের সাথে রয়েছে প্রচুর ম্যাগনেশিয়াম। ফুসফুসের কার্যকারিতা বাড়াতে এর ভূমিকা যথেষ্ট। তিষির বীজে আছে ভিটামিন ই, বাড়ায় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। আখরোটের ওমেগা থ্রি কার্যকারিতা বাড়ায় ফুসফুসের।
আনন্দবাজার/এফআইবি